০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় চোরের আতঙ্কে ঘুম হারাম এলাকাবাসীর প্রায় রাতেই ঘটছে চুরির ঘটনা

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ১ নম্বর আলুকদিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর বালিয়াপাড়া গ্রামে হঠাৎ বেড়েছে চোরের উৎপাত। চোর আতঙ্কে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। প্রায় রাতেই ঘটছে চুরির ঘটনা। পাছিল টপকিয়ে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে বাড়ির ব্যবহৃত জিনিসপত্র, সাইকেল, মোবাইল, ছাগল, পানির মটরসহ যা পাচ্ছে তাই চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। গত ১৬ই মে মঙ্গলবার আনুমানিক মধ্য রাতে গ্রামের মৃত দিরু মন্ডলের ছেলে হরকোত আলীর বাড়ি থেকে একটি সাইকেল চুরি হয়। পরের দিন ১৭ই মে বুধবার ও পাশের মোমিনের বাড়ি থেকে একটি পানির মটর চুরি হয়। তারপর ১৮ই মে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ২ টার দিকে একই গ্রামের ইসরাফিলের বাড়িতে চুরি হয়। জানা যায়, ইসরাফিলের বাড়ি থেকে একটি সাইকেল, দুটি নতুন শাড়ি, বেশ কিছু হাড়ি পাতিল ও তার ছেলে আঃ হালিমের একটি এন্ড্রুয়েড স্মার্ট ফোন ও মানিব্যাগ চুরি করে নিয়ে যায়। মানিব্যাগের মধ্যে নগদ ৮ হাজার টাকা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিলো। পর পর একই ভাবে চুরির ঘটনা ঘটায় গ্রামের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিষয়টি ডিএসবি কে জানালে ডিএসবির এ এস আই মনিরুল ইসলাম সকাল ৮ টার সময় ঘটনাস্থলে এসে বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করে যায়। পরের দিন ১৯ মে শুক্রবার মোবাইল ফোন চুরি করেছে যার ফলে মোবাইলের আইমি নম্বর দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আঃ হালিম। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর সদর থানার এস আই মাসুম বিল্লাহ এলাকায় এসে সকলকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেন এবং বহিরাগতদের রাতে এলাকায় ঢুকার বিষয় টি নজরে রেখে পুলিশ কে খবর দেয়ার জন্য এলাকার সাধারন মানুষের নির্দেশ দেন। ফলে দুই তিন দিন চুরি হয়নি হঠাৎ করে আবার ২৩ সে মে মঙ্গলবার রাতে হুমায়ুনেরও বাড়ি থেকে দুটি ছাগল চুরি হয়েছে। কুরবানির জন্য কিনে আনা দুটি বড় ছাগল বাড়ির পাছিল টপকিয়ে চুরি করে নিয়ে যায় ছাগল দুটি। এ যেন এক চোর পুরি হয়ে গেছে। চোর প্রতিকারের দাবি করেন এলাকাবাসী। বিষয়টি প্রসাশনের একটু নজরে নেয়ার জন্য দাবী করেন এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল। তবে এলাবাসীর অনেকেই সাংবাদিক দের কে বলেন, চুরির পিছনে স্থানীয় লোকের হাত থাকতে পারে। তা না হলে প্রতিটি বাড়ির ভিতর থেকে চুরি করে কৌশলে নিয়ে চলে যায় কিভাবে। তবে চোর চিহ্নিত না করা পর্যন্ত কাউকে সন্দেহ করা যাচ্ছে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় চোরের আতঙ্কে ঘুম হারাম এলাকাবাসীর প্রায় রাতেই ঘটছে চুরির ঘটনা

প্রকাশঃ ০৪:১১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ১ নম্বর আলুকদিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর বালিয়াপাড়া গ্রামে হঠাৎ বেড়েছে চোরের উৎপাত। চোর আতঙ্কে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। প্রায় রাতেই ঘটছে চুরির ঘটনা। পাছিল টপকিয়ে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে বাড়ির ব্যবহৃত জিনিসপত্র, সাইকেল, মোবাইল, ছাগল, পানির মটরসহ যা পাচ্ছে তাই চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। গত ১৬ই মে মঙ্গলবার আনুমানিক মধ্য রাতে গ্রামের মৃত দিরু মন্ডলের ছেলে হরকোত আলীর বাড়ি থেকে একটি সাইকেল চুরি হয়। পরের দিন ১৭ই মে বুধবার ও পাশের মোমিনের বাড়ি থেকে একটি পানির মটর চুরি হয়। তারপর ১৮ই মে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ২ টার দিকে একই গ্রামের ইসরাফিলের বাড়িতে চুরি হয়। জানা যায়, ইসরাফিলের বাড়ি থেকে একটি সাইকেল, দুটি নতুন শাড়ি, বেশ কিছু হাড়ি পাতিল ও তার ছেলে আঃ হালিমের একটি এন্ড্রুয়েড স্মার্ট ফোন ও মানিব্যাগ চুরি করে নিয়ে যায়। মানিব্যাগের মধ্যে নগদ ৮ হাজার টাকা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিলো। পর পর একই ভাবে চুরির ঘটনা ঘটায় গ্রামের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিষয়টি ডিএসবি কে জানালে ডিএসবির এ এস আই মনিরুল ইসলাম সকাল ৮ টার সময় ঘটনাস্থলে এসে বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করে যায়। পরের দিন ১৯ মে শুক্রবার মোবাইল ফোন চুরি করেছে যার ফলে মোবাইলের আইমি নম্বর দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আঃ হালিম। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর সদর থানার এস আই মাসুম বিল্লাহ এলাকায় এসে সকলকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেন এবং বহিরাগতদের রাতে এলাকায় ঢুকার বিষয় টি নজরে রেখে পুলিশ কে খবর দেয়ার জন্য এলাকার সাধারন মানুষের নির্দেশ দেন। ফলে দুই তিন দিন চুরি হয়নি হঠাৎ করে আবার ২৩ সে মে মঙ্গলবার রাতে হুমায়ুনেরও বাড়ি থেকে দুটি ছাগল চুরি হয়েছে। কুরবানির জন্য কিনে আনা দুটি বড় ছাগল বাড়ির পাছিল টপকিয়ে চুরি করে নিয়ে যায় ছাগল দুটি। এ যেন এক চোর পুরি হয়ে গেছে। চোর প্রতিকারের দাবি করেন এলাকাবাসী। বিষয়টি প্রসাশনের একটু নজরে নেয়ার জন্য দাবী করেন এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল। তবে এলাবাসীর অনেকেই সাংবাদিক দের কে বলেন, চুরির পিছনে স্থানীয় লোকের হাত থাকতে পারে। তা না হলে প্রতিটি বাড়ির ভিতর থেকে চুরি করে কৌশলে নিয়ে চলে যায় কিভাবে। তবে চোর চিহ্নিত না করা পর্যন্ত কাউকে সন্দেহ করা যাচ্ছে না।