ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে হট্টগোল-মারামারি,পুলিশ হেফাজতে ব্যালট

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিম কোর্ট বার) নির্বাচনে দুইদিন ধরে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হলেও প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে হট্টগোল, হাতাহাতি-মারামারির পর বন্ধ হয়ে গেছে ভোট গণনা।
শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ব্যালট সিলগালা অবস্থায় পুলিশের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার (৬ মার্চ) সকাল থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেল পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলে।
এদিকে থমথমে অবস্থার মধ্যে আদালত প্রাঙ্গণে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দেখা গেলেও দেখা যায়নি কোনো প্রার্থীকে। ফলে কখন ভোট গণনা করে ফলাফল ঘোষণা করা হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪–২০২৫ সেশনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেল ৫টায়। নিয়ম অনুযায়ী রাতে ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।
তবে সারা রাত আইনজীবীদের মধ্যে দফায় দফায় হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হন।
পরে ভোট গণনা না করেই সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান। তবে ব্যালট রয়েছে পুলিশ হেফাজতে।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ইকবাল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা এখনো ভোট গণনা করিনি।
সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো ফেসবুকের কথা। ব্যালট এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। রাতে বহিরাগতরা মিলনায়তনে প্রবেশ করে ঝামেলা করেছে।
সাধারণ আইনজীবীরা জানান, গত রাত ৩টার দিকে ভোট বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হয়। এ সময় স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী ও বিএনপির প্যানেলের প্রার্থীরা রাতেই ভোট গণনার পক্ষে সোচ্চার হন।
তারা নির্বাচন কমিশনকে ভোট গণনা করে ফল ঘোষণা করতে বলেন। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী শাহ মনজুরুল হক শুক্রবার বিকেল ৩টায় দিনের আলোতে ভোট গণনা চাচ্ছিলেন।এ নিয়ে এক পর্যায়ে দু’পক্ষের সমর্থকদের মাঝে হট্টগোল শুরু হয়।
এ নিয়ে শুক্রবার ভোরে উত্তেজনা থেকে হাতাহাতি, এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনাও ঘটে। এতে কয়েকজন আইনজীবী আহত হন। মারধর করা হয় একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলকে। এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বহিরাগতদের দিয়ে এ হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিকে বিজয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের প্রধান অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের।
তিনি বলেন, ভোট গণনার সময় অন্য সম্পাদক প্রার্থী উপস্থিত না থাকায় সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সুপ্রিম কোর্টে এসে বহিরাগতদের বের করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ভোটের বাক্সগুলো পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
ফলাফল ঘোষণার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী শাহ মনজুরুল হক বলেন, ভোট তো গণনাই হয়নি। সকাল ৮টার পর পুলিশের পাহারায় আমি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাসায় চলে এসেছি। আমাদের নেতৃবৃন্দ সার্বিক বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ভোটের পর আমরা নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলাম। এখনও আমরা ফলাফলের অপেক্ষায় আছি। আমরা এখন ব্যালট বাক্সও খুঁজে পাচ্ছি না, নির্বাচন কমিশনকেও খুঁজে পাচ্ছি না।

আপলোডকারীর তথ্য

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিরতি চুক্তিতে বাধা দেয়ার অভিযোগ

সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে হট্টগোল-মারামারি,পুলিশ হেফাজতে ব্যালট

আপডেট সময় : ১০:৫১:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিম কোর্ট বার) নির্বাচনে দুইদিন ধরে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হলেও প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে হট্টগোল, হাতাহাতি-মারামারির পর বন্ধ হয়ে গেছে ভোট গণনা।
শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ব্যালট সিলগালা অবস্থায় পুলিশের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার (৬ মার্চ) সকাল থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেল পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলে।
এদিকে থমথমে অবস্থার মধ্যে আদালত প্রাঙ্গণে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দেখা গেলেও দেখা যায়নি কোনো প্রার্থীকে। ফলে কখন ভোট গণনা করে ফলাফল ঘোষণা করা হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪–২০২৫ সেশনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেল ৫টায়। নিয়ম অনুযায়ী রাতে ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।
তবে সারা রাত আইনজীবীদের মধ্যে দফায় দফায় হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হন।
পরে ভোট গণনা না করেই সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান। তবে ব্যালট রয়েছে পুলিশ হেফাজতে।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ইকবাল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা এখনো ভোট গণনা করিনি।
সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো ফেসবুকের কথা। ব্যালট এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। রাতে বহিরাগতরা মিলনায়তনে প্রবেশ করে ঝামেলা করেছে।
সাধারণ আইনজীবীরা জানান, গত রাত ৩টার দিকে ভোট বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হয়। এ সময় স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী ও বিএনপির প্যানেলের প্রার্থীরা রাতেই ভোট গণনার পক্ষে সোচ্চার হন।
তারা নির্বাচন কমিশনকে ভোট গণনা করে ফল ঘোষণা করতে বলেন। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী শাহ মনজুরুল হক শুক্রবার বিকেল ৩টায় দিনের আলোতে ভোট গণনা চাচ্ছিলেন।এ নিয়ে এক পর্যায়ে দু’পক্ষের সমর্থকদের মাঝে হট্টগোল শুরু হয়।
এ নিয়ে শুক্রবার ভোরে উত্তেজনা থেকে হাতাহাতি, এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনাও ঘটে। এতে কয়েকজন আইনজীবী আহত হন। মারধর করা হয় একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলকে। এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বহিরাগতদের দিয়ে এ হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিকে বিজয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের প্রধান অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের।
তিনি বলেন, ভোট গণনার সময় অন্য সম্পাদক প্রার্থী উপস্থিত না থাকায় সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সুপ্রিম কোর্টে এসে বহিরাগতদের বের করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ভোটের বাক্সগুলো পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
ফলাফল ঘোষণার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী শাহ মনজুরুল হক বলেন, ভোট তো গণনাই হয়নি। সকাল ৮টার পর পুলিশের পাহারায় আমি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাসায় চলে এসেছি। আমাদের নেতৃবৃন্দ সার্বিক বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ভোটের পর আমরা নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলাম। এখনও আমরা ফলাফলের অপেক্ষায় আছি। আমরা এখন ব্যালট বাক্সও খুঁজে পাচ্ছি না, নির্বাচন কমিশনকেও খুঁজে পাচ্ছি না।