০৯:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশের দাওয়াত না পাওয়া দুঃখজনক : মির্জা ফখরুল

আমেরিকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশের দাওয়াত না পাওয়া খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ বলে দিতে চাই, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল। সেটা এখন পুরো বিশ্বের কাছে প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের সোজা কথা, এ সরকারের অধীনে আর ‘কুত্তা’ মার্কা নির্বাচনে আমরা যাব না।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গোপীবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির আগে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা হেঁটে পথযাত্রায় মানুষকে বার্তা দিয়ে যাব। আর সময় নেই, রাজপথে নেমে আসতে হবে। অনেক হয়েছে এই বিনা ভোটের সরকার মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন চালের দাম বাড়ছে, ডিম কিনেও খেতে পারছে না। নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। কোথাও কোনো শান্তি নেই।
দেশের জনগণ গরিব হচ্ছে আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ধনী হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করেছে, র‌্যাবকে ব্যবহার করেছিল, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এখন তারা পুলিশকে ব্যবহার করছে।
বিএনপির চলমান আন্দোলনে ১০ জন নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের অনেক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। রাত হলে পুলিশ পাড়ায়-পাড়ায় আমাদের নেতাকর্মীদের আটক করছে। তবুও তারা আমাদের দমাতে পারছে না। কারণ বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি করছে না, জনগণের অধিকার আদায়ের রাজনীতি করছে।
আওয়ামী লীগ এখন বিএনপির আন্দোলনকে ভয় পায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এখনো সময় আছে, সরে যান। এ সরকারের পদত্যাগের দাবি এখন সারা বাংলাদেশের ছড়িয়ে পড়েছে। আন্দোলনে সবসময় দেশের জনগণ জয়ী হয়েছে, এবারও জয়ী হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে এ সংবিধান দিয়ে দেশ পরিচালিত হতে পারে না। আমাদের ২৭ দফার কথা বলেছি, এর মধ্যে রয়েছে সংবিধান সংশোধনের কথা। সব মানুষের অংশগ্রহণে নির্বাচনের জন্য আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেছি। চুরির একটা সীমা আছে, এ সরকার সব কিছু ছাড়িয়ে গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা অতীতে অনেক বক্তব্য দিয়েছি, অনেক সমাবেশ করেছি কিন্তু এই সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হচ্ছে না। এই পদযাত্রার মাধ্যমে দেশের মানুষকে জানিয়ে দিতে চাই, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে না। বিএনপি রাজপথে মিছিল করছে, আন্দোলন করছে জনগণের অধিকারের জন্য।
প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সরকার আঁতাত করে দেশকে ধ্বংসের প্রান্তে নিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার উদাহরণ আদানি গ্রুপ। তারা কিছু দিক বা না দিক তাদের কোটি কোটি টাকা দিয়ে দিতে হবে। এ সরকার থাকা অবস্থায় মানুষের মুক্তি মিলবে না। এজন্য চাই খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। এবার আমরা অন্য কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন করব না। একটা দেশ এসে বলে গেল, আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেবে। তাদের বলব, আওয়ামী লীগকে নয় দেশের জনককে সমর্থন দেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমার আপনার জনগণের কথা এক-এই সরকারের পদত্যাগ। আমরা এ সরকারের অধীনে নির্বাচন করব না। কারো ভোট কাউকে দিতে দেব না। সরকার যদি জনগণের শক্তিকে বিশ্বাস করে তাহলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে। আমরা জোর করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। গণতান্ত্রিক উপায়ে একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই। আমাদের দাবি এবং জনগণে দাবি এক, আমাদের দাবির সঙ্গে জনগণের দাবির কোনো অমিল নেই। জনগণের দাবির কাছে কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি টিকে থাকতে পারে না। এ সরকার দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে শেষ প্রান্তে নিয়ে গেছে। আজ ব্যবসা করতে পারছে না, ব্যাংক টাকা দিচ্ছে না। ব্যাংকের সব টাকা শেখ হাসিনা ও তার অনুগত ব্যক্তিদের কাছে।
পদযাত্রায় অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা ফজলুল হক মিলন, রফিকুল আলম মজনু, ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের একদিন জাতির কাছে জবাব দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশের দাওয়াত না পাওয়া দুঃখজনক : মির্জা ফখরুল

প্রকাশ : ০৮:০৫:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আমেরিকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশের দাওয়াত না পাওয়া খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ বলে দিতে চাই, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল। সেটা এখন পুরো বিশ্বের কাছে প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের সোজা কথা, এ সরকারের অধীনে আর ‘কুত্তা’ মার্কা নির্বাচনে আমরা যাব না।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গোপীবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির আগে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা হেঁটে পথযাত্রায় মানুষকে বার্তা দিয়ে যাব। আর সময় নেই, রাজপথে নেমে আসতে হবে। অনেক হয়েছে এই বিনা ভোটের সরকার মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন চালের দাম বাড়ছে, ডিম কিনেও খেতে পারছে না। নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। কোথাও কোনো শান্তি নেই।
দেশের জনগণ গরিব হচ্ছে আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ধনী হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করেছে, র‌্যাবকে ব্যবহার করেছিল, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এখন তারা পুলিশকে ব্যবহার করছে।
বিএনপির চলমান আন্দোলনে ১০ জন নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের অনেক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। রাত হলে পুলিশ পাড়ায়-পাড়ায় আমাদের নেতাকর্মীদের আটক করছে। তবুও তারা আমাদের দমাতে পারছে না। কারণ বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি করছে না, জনগণের অধিকার আদায়ের রাজনীতি করছে।
আওয়ামী লীগ এখন বিএনপির আন্দোলনকে ভয় পায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এখনো সময় আছে, সরে যান। এ সরকারের পদত্যাগের দাবি এখন সারা বাংলাদেশের ছড়িয়ে পড়েছে। আন্দোলনে সবসময় দেশের জনগণ জয়ী হয়েছে, এবারও জয়ী হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে এ সংবিধান দিয়ে দেশ পরিচালিত হতে পারে না। আমাদের ২৭ দফার কথা বলেছি, এর মধ্যে রয়েছে সংবিধান সংশোধনের কথা। সব মানুষের অংশগ্রহণে নির্বাচনের জন্য আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেছি। চুরির একটা সীমা আছে, এ সরকার সব কিছু ছাড়িয়ে গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা অতীতে অনেক বক্তব্য দিয়েছি, অনেক সমাবেশ করেছি কিন্তু এই সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হচ্ছে না। এই পদযাত্রার মাধ্যমে দেশের মানুষকে জানিয়ে দিতে চাই, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে না। বিএনপি রাজপথে মিছিল করছে, আন্দোলন করছে জনগণের অধিকারের জন্য।
প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সরকার আঁতাত করে দেশকে ধ্বংসের প্রান্তে নিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার উদাহরণ আদানি গ্রুপ। তারা কিছু দিক বা না দিক তাদের কোটি কোটি টাকা দিয়ে দিতে হবে। এ সরকার থাকা অবস্থায় মানুষের মুক্তি মিলবে না। এজন্য চাই খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। এবার আমরা অন্য কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন করব না। একটা দেশ এসে বলে গেল, আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেবে। তাদের বলব, আওয়ামী লীগকে নয় দেশের জনককে সমর্থন দেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমার আপনার জনগণের কথা এক-এই সরকারের পদত্যাগ। আমরা এ সরকারের অধীনে নির্বাচন করব না। কারো ভোট কাউকে দিতে দেব না। সরকার যদি জনগণের শক্তিকে বিশ্বাস করে তাহলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে। আমরা জোর করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। গণতান্ত্রিক উপায়ে একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই। আমাদের দাবি এবং জনগণে দাবি এক, আমাদের দাবির সঙ্গে জনগণের দাবির কোনো অমিল নেই। জনগণের দাবির কাছে কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি টিকে থাকতে পারে না। এ সরকার দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে শেষ প্রান্তে নিয়ে গেছে। আজ ব্যবসা করতে পারছে না, ব্যাংক টাকা দিচ্ছে না। ব্যাংকের সব টাকা শেখ হাসিনা ও তার অনুগত ব্যক্তিদের কাছে।
পদযাত্রায় অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা ফজলুল হক মিলন, রফিকুল আলম মজনু, ইশরাক হোসেন প্রমুখ।