০৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধুনটের বীথি পেলেন আইপিডিসি-প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা

পল্লী গাঁয়ে বীথিরা জন্মে বলেই সমাজ আলোকিত হয়, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ও কুসংস্কারের মুখে লাথি মেরে যাঁরা সূচনা করে নব যাত্রার। যাঁদের দেখানো পথে হেঁটে চলে আগামীর বাংলাদেশ। তেমনই একজন নারী বগুড়ার ধুনটের স্কুল শিক্ষিকা ফৌজিয়া হক বীথি। যিনি ১৯৭৮ সালে ধুনট উপজেলার চান্দার পাড়া নামক নিভৃত পল্লী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মোজাম্মেল হক একজন মুক্তিযোদ্ধা ও তৎকালীন ধুনট এনইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (বর্তমান ধুনট সরকারি এনইউ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়) বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। শিশু কালে লেখাপড়া করেছেন ধুনট সরকারি প্রাথমিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১৯৯৪ সালে ধুনট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ১৯৯৬ সালে ধুনট ডিগ্রী কলেজ থেকে সর্বোচ্চ নম্বর নিয়ে ১ম স্থান অর্জন করে। পরবর্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে ২য় স্থান লাভ করে। ১৯৯৯ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্বামী রাজ্জাকুল কবির বিদ্যুত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনিও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০০ সালে ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের সাতবেকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করে শিক্ষকতা পেশার সূচনা ঘটায়। সেখান থেকে ২০১৭ সালে বেলকুচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি নেন। তিনি শুধুমাত্র একজন সহকারী শিক্ষকই নন। তিনি শুধু শিক্ষকতা ও সংসার নিয়েই সময় পার করেন না। স্কুলে কর্তব্যরত সময়ের পর ছুটে বেড়ান মানববতার কল্যাণে। তাই তাকে এলাকার মানুষ স্কুলের ম্যাডাম অপেক্ষা একজন মানবদরদী বীথি আপা হিসেবেই চেনে। অনেকে চেনেন মানবিক আপা নামেও।

করোনা কালিন লকডাউনের সময় নিজ হাতে রান্না করা খাবার নিয়ে আবার কখনও চাল, ডাল, তেলসহ খাদ্য সামগ্রী নিয়ে পৌছে দিয়েছেন কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের ঘরে। কখনো ঈদের বোনাসের টাকায় নতুন জামা-কাপড় কিনে দিয়ে হাসি ফুটিয়েছেন অসহায় মানুষদের মুখে। সবসময় সমাজের অবহেলিত সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কথা চিন্তা করেন মানবিক ফৌজিয়া হক বীথি। মানবিক বলেই যেকোন বিপদে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি। গত কয়েক বছর আগে থেকে মানবতার কল্যাণে কাজ করলেও তার প্রচার ছিলোনা। করোনা মহামারির সময় থেকে সম্প্রতি তার জনকল্যাণ মূলক কর্মকাণ্ড এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ২০২১ সালে করোনা সতর্কতায় নিজ হাতে তৈরী করা ৮ হাজার মাস্ক সাধারন মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য তৎকালিন সময়ের ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধুবালার হাতে তুলে দেন। অনেক মাস্ক বিতরন করেন তিনি নিজেও।

২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার বিধি নিষেধ আরোপ করার পর থেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নেমে কাজ করেছেন তিনি। এলাকার অসহায় পরিবার গুলোতে খাদ্য সরবরাহ শুরু করেন। স্কুলের দেড় শতাধিক ছাত্র -ছাত্রীকে খাতা কলম কিনে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। নিজের বাড়ির পালিত ছাগল জবাই করে পঙ্গু ও গরিবদের মাঝে গোশত বিতরণ করার মত মহৎ কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িত তিনি।

এছাড়াও তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে পরিবেশ উন্নয়নের জন্য মানুষ কে বৃক্ষরোপনের উৎসাহ দিয়েছেন। ২০২১ সালে ক্লীন গ্রীন বাংলাদেশ বগুড়া ইউনিটের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে থাই পেয়ারা, লেবুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিতরণ করেন ফৌজিয়া হক বীথি। মুসলিম উম্মাহর শ্রেষ্ঠ ইবাদত রামাজানের সিয়াম সাধনাতেও দুস্থ্যদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইফতারি সহ খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন।

সভ্রান্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা বীথি বেতনের প্রায় সব টাকাই সমাজসেবায় ব্যয় করেন। অসহায় মানুষের চিকিৎসা, গরিব পরিবারের ছেলে মেয়েদের শিক্ষার ব্যবস্থা, বিধবাদের সহযোগিতা ছাড়াও বাল্য বিয়ে রোধ, নারী নির্যাতন বন্ধসহ নানামুখী সামাজিক কার্যক্রমে নিজেকে সব সময় ব্যস্ত রাখেন। সমাজসেবায় অবদান স্বরুপ তিনি বেশ কিছু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। ২০২০ সালে মানব সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য সংবর্ধনা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত। ২০২১ সালে আইপিডিসি অর্থায়নে দানসাং উইমেন ন্যাশান বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ড-২০২১ পেয়েছেন। বিভীষিকা মুছে ফেলে নব উদ্যমে জীবন শুরু করেছে যে নারী’ ক্যাটাগরিতে বগুড়া জেলার শ্রেষ্ঠ জয়ীতা সম্মাননা অর্জন করেন তিনি। শিক্ষকতার পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজে বিশেষ অবদানের জন্য ধুনট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে সম্মাননাসহ আরো অনেক সম্মাননা এখন জমা পড়েছে তার ঝুড়িতে। এসব সমাজসেবামূলক কাজে উৎসাহিত করতে বগুড়ার ধুনট উপজেলার স্কুল শিক্ষিকা ফৌজিয়া বীথিকে একটি সেলাই মেশিন ও নগদ ১০ হাজার টাকার চেক উপহারও দিয়েছেন বগুড়া জেলা প্রশাসক।

গত ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত আইপিডিসি-প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা ২০২২ অনুষ্ঠানে সারা দেশের বাছাই করা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ফৌজিয়া হক বীথিসহ ৯ জন গুনী শিক্ষক হিসেবে স্থান পায়। এসব গুণী শিক্ষকের হাতে সম্মাননা হিসেবে দেওয়া হলো ক্রেস্ট, উত্তরীয়, সনদ। এ ছাড়া প্রত্যেককে দেওয়া হয় দুই লাখ টাকার চেক।

উল্লেখ্য ২০২২ সালে প্রিয় শিক্ষক সম্মাননার বাছাই প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছিল গত বছরের ৫ অক্টোবর। নির্ধারিত ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইন ও অফলাইনে পাওয়া ১ হাজার ৭৭৯টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষক ২০১ জন এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক ছিলেন ১ হাজার ৫৭৮ জন। তাঁদের মধ্যে থেকে জুরিবোর্ড ফৌজিয়া হক বীথিসহ ৯ জন শিক্ষককে সম্মাননার জন্য বাছাই করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ধুনটের বীথি পেলেন আইপিডিসি-প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা

প্রকাশ : ০৭:০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

পল্লী গাঁয়ে বীথিরা জন্মে বলেই সমাজ আলোকিত হয়, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ও কুসংস্কারের মুখে লাথি মেরে যাঁরা সূচনা করে নব যাত্রার। যাঁদের দেখানো পথে হেঁটে চলে আগামীর বাংলাদেশ। তেমনই একজন নারী বগুড়ার ধুনটের স্কুল শিক্ষিকা ফৌজিয়া হক বীথি। যিনি ১৯৭৮ সালে ধুনট উপজেলার চান্দার পাড়া নামক নিভৃত পল্লী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মোজাম্মেল হক একজন মুক্তিযোদ্ধা ও তৎকালীন ধুনট এনইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (বর্তমান ধুনট সরকারি এনইউ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়) বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। শিশু কালে লেখাপড়া করেছেন ধুনট সরকারি প্রাথমিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১৯৯৪ সালে ধুনট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ১৯৯৬ সালে ধুনট ডিগ্রী কলেজ থেকে সর্বোচ্চ নম্বর নিয়ে ১ম স্থান অর্জন করে। পরবর্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে ২য় স্থান লাভ করে। ১৯৯৯ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্বামী রাজ্জাকুল কবির বিদ্যুত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনিও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০০ সালে ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের সাতবেকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করে শিক্ষকতা পেশার সূচনা ঘটায়। সেখান থেকে ২০১৭ সালে বেলকুচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি নেন। তিনি শুধুমাত্র একজন সহকারী শিক্ষকই নন। তিনি শুধু শিক্ষকতা ও সংসার নিয়েই সময় পার করেন না। স্কুলে কর্তব্যরত সময়ের পর ছুটে বেড়ান মানববতার কল্যাণে। তাই তাকে এলাকার মানুষ স্কুলের ম্যাডাম অপেক্ষা একজন মানবদরদী বীথি আপা হিসেবেই চেনে। অনেকে চেনেন মানবিক আপা নামেও।

করোনা কালিন লকডাউনের সময় নিজ হাতে রান্না করা খাবার নিয়ে আবার কখনও চাল, ডাল, তেলসহ খাদ্য সামগ্রী নিয়ে পৌছে দিয়েছেন কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের ঘরে। কখনো ঈদের বোনাসের টাকায় নতুন জামা-কাপড় কিনে দিয়ে হাসি ফুটিয়েছেন অসহায় মানুষদের মুখে। সবসময় সমাজের অবহেলিত সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কথা চিন্তা করেন মানবিক ফৌজিয়া হক বীথি। মানবিক বলেই যেকোন বিপদে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি। গত কয়েক বছর আগে থেকে মানবতার কল্যাণে কাজ করলেও তার প্রচার ছিলোনা। করোনা মহামারির সময় থেকে সম্প্রতি তার জনকল্যাণ মূলক কর্মকাণ্ড এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ২০২১ সালে করোনা সতর্কতায় নিজ হাতে তৈরী করা ৮ হাজার মাস্ক সাধারন মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য তৎকালিন সময়ের ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধুবালার হাতে তুলে দেন। অনেক মাস্ক বিতরন করেন তিনি নিজেও।

২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার বিধি নিষেধ আরোপ করার পর থেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নেমে কাজ করেছেন তিনি। এলাকার অসহায় পরিবার গুলোতে খাদ্য সরবরাহ শুরু করেন। স্কুলের দেড় শতাধিক ছাত্র -ছাত্রীকে খাতা কলম কিনে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। নিজের বাড়ির পালিত ছাগল জবাই করে পঙ্গু ও গরিবদের মাঝে গোশত বিতরণ করার মত মহৎ কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িত তিনি।

এছাড়াও তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে পরিবেশ উন্নয়নের জন্য মানুষ কে বৃক্ষরোপনের উৎসাহ দিয়েছেন। ২০২১ সালে ক্লীন গ্রীন বাংলাদেশ বগুড়া ইউনিটের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে থাই পেয়ারা, লেবুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিতরণ করেন ফৌজিয়া হক বীথি। মুসলিম উম্মাহর শ্রেষ্ঠ ইবাদত রামাজানের সিয়াম সাধনাতেও দুস্থ্যদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইফতারি সহ খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন।

সভ্রান্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা বীথি বেতনের প্রায় সব টাকাই সমাজসেবায় ব্যয় করেন। অসহায় মানুষের চিকিৎসা, গরিব পরিবারের ছেলে মেয়েদের শিক্ষার ব্যবস্থা, বিধবাদের সহযোগিতা ছাড়াও বাল্য বিয়ে রোধ, নারী নির্যাতন বন্ধসহ নানামুখী সামাজিক কার্যক্রমে নিজেকে সব সময় ব্যস্ত রাখেন। সমাজসেবায় অবদান স্বরুপ তিনি বেশ কিছু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। ২০২০ সালে মানব সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য সংবর্ধনা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত। ২০২১ সালে আইপিডিসি অর্থায়নে দানসাং উইমেন ন্যাশান বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ড-২০২১ পেয়েছেন। বিভীষিকা মুছে ফেলে নব উদ্যমে জীবন শুরু করেছে যে নারী’ ক্যাটাগরিতে বগুড়া জেলার শ্রেষ্ঠ জয়ীতা সম্মাননা অর্জন করেন তিনি। শিক্ষকতার পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজে বিশেষ অবদানের জন্য ধুনট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে সম্মাননাসহ আরো অনেক সম্মাননা এখন জমা পড়েছে তার ঝুড়িতে। এসব সমাজসেবামূলক কাজে উৎসাহিত করতে বগুড়ার ধুনট উপজেলার স্কুল শিক্ষিকা ফৌজিয়া বীথিকে একটি সেলাই মেশিন ও নগদ ১০ হাজার টাকার চেক উপহারও দিয়েছেন বগুড়া জেলা প্রশাসক।

গত ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত আইপিডিসি-প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা ২০২২ অনুষ্ঠানে সারা দেশের বাছাই করা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ফৌজিয়া হক বীথিসহ ৯ জন গুনী শিক্ষক হিসেবে স্থান পায়। এসব গুণী শিক্ষকের হাতে সম্মাননা হিসেবে দেওয়া হলো ক্রেস্ট, উত্তরীয়, সনদ। এ ছাড়া প্রত্যেককে দেওয়া হয় দুই লাখ টাকার চেক।

উল্লেখ্য ২০২২ সালে প্রিয় শিক্ষক সম্মাননার বাছাই প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছিল গত বছরের ৫ অক্টোবর। নির্ধারিত ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইন ও অফলাইনে পাওয়া ১ হাজার ৭৭৯টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষক ২০১ জন এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক ছিলেন ১ হাজার ৫৭৮ জন। তাঁদের মধ্যে থেকে জুরিবোর্ড ফৌজিয়া হক বীথিসহ ৯ জন শিক্ষককে সম্মাননার জন্য বাছাই করেন।