১১:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিতের আহ্বান জাতিসংঘের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশঃ ১০:১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩
  • ২৫৮২ বার পড়া হয়েছে

শুক্রবার (৩১ মার্চ) জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টার্ক এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানিয়েছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের উদ্বেগ জানিয়ে ভলকার টার্ক বলেন, এই আইন বাংলাদেশের সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি, ভয় দেখানো এবং অনলাইনে সমালোচনার মুখ বন্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই আমি আবারও কর্তৃপক্ষকে এই আইন ব্যবহারে অবিলম্বে স্থগিতাদেশ আরোপের আহ্বান জানাচ্ছি।
একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করতে এই আইনের বিধানগুলোতে ব্যাপকভাবে সংস্কারের আহ্বান জানান ভলকার টার্ক।
বিবৃতিতে এই আইনের আওতায় প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস, সম্পাদক মতিউর রহমান ও একজন ফটোগ্রাফারসহ ২ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
ভলকার টার্ক আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার এই আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধে সুরক্ষাকবচ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু গ্রেপ্তার অব্যাহত থাকায় এই প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট নয়। তাই আইনটির যথাযথ সংশোধন প্রয়োজন।
এ ছাড়া এই আইনে অভিযুক্তদের মুক্তির লক্ষ্যে সব মামলা মূলতবি করে পর্যালোচনার জন্য একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় প্যানেল গঠনেরও আহ্বান জানান হাইকমিশনার।

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিতের আহ্বান জাতিসংঘের

প্রকাশঃ ১০:১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

শুক্রবার (৩১ মার্চ) জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টার্ক এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানিয়েছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের উদ্বেগ জানিয়ে ভলকার টার্ক বলেন, এই আইন বাংলাদেশের সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি, ভয় দেখানো এবং অনলাইনে সমালোচনার মুখ বন্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই আমি আবারও কর্তৃপক্ষকে এই আইন ব্যবহারে অবিলম্বে স্থগিতাদেশ আরোপের আহ্বান জানাচ্ছি।
একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করতে এই আইনের বিধানগুলোতে ব্যাপকভাবে সংস্কারের আহ্বান জানান ভলকার টার্ক।
বিবৃতিতে এই আইনের আওতায় প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস, সম্পাদক মতিউর রহমান ও একজন ফটোগ্রাফারসহ ২ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
ভলকার টার্ক আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার এই আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধে সুরক্ষাকবচ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু গ্রেপ্তার অব্যাহত থাকায় এই প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট নয়। তাই আইনটির যথাযথ সংশোধন প্রয়োজন।
এ ছাড়া এই আইনে অভিযুক্তদের মুক্তির লক্ষ্যে সব মামলা মূলতবি করে পর্যালোচনার জন্য একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় প্যানেল গঠনেরও আহ্বান জানান হাইকমিশনার।