০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লালমনিরহাটের বড়বাড়িতে সংবাদকর্মীর উপর হামলা

লালমনিরহাটের বড়বাড়িতে সংঘর্ষ ঠেকাতে এগিয়ে আসায় এক সংবাদকর্মী ও তার ভাই হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠছে।

সাংবাদিকের উপর হামলার এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।

শুক্রবার(৩১ মার্চ) রাত সাড়ে নয়টার দিকে জেলার সদর উপজেলার বড়বাড়ী শিবরাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় বাসিন্দা ও আহত সংবাদকর্মী মুসা মোর্শেদ জানায়, বড়বাড়ীর শিবরাম এলাকার অবঃ সেনা সদস্য আব্বাস আলী আর আসাদ-উদ-দৌলার জমি সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘ দিনের। স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার জন্য সচেতন মহল একাধিক বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ বিষয়ে উভয়ের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলাও চলমান রয়েছে। গত কাল (শুক্রবার) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিরোধ পূর্ণ জমির উপর দিয়ে সাইকেলে করে আব্বাসের ছেলে যাওয়ার সময় আসাদ দৌলার দৌহিত্র শাকিল(১২) কে সাইকেল লাগিয়ে দেয় এতে উভয়ের মাঝে তর্কের সৃষ্টি হয় এবং উভয় পক্ষের লোকজন এগিয়ে আসে এবং তর্কে জড়ায়। যা নিরোধে এগিয়ে আসে স্থানীয় বাসিন্দা দৈনিক বাংলাদেশ সময় পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক মুসা মোর্শেদ ও তার ভাই এনামুল। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক ও তার ভাইয়ের উপর অতর্কিত হামলা করে আহত করে আব্বাস গংরা। আহতদের চিৎকারে ঘটনাস্থলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সটকে পরে তারা।পরে আহত সংবাদকর্মী মুসা ও তার ভাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে(বেড নং-৪২,৪৫ তৃতীয় তলা)।

এ বিষয়ে অবঃ সেনা সদস্য আব্বাস আলী জানান, মুসাদের সাথে তাদের কোনো বিরোধ নেই।গতকাল শাকিলকে সাইকেল লাগিয়ে দেয়নি তার ছেলে শুধু পাশ দিয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে পায়ে পা দিয়ে পূর্ব জেরে ঝগড়ার পায়তারা করে আসাদরা,ঘটনাস্থলে সাংবাদিকের ভাই ছিলো,সে কথা বলায় তাকে শুধু চুপ থাকতে বলা হয়েছে, পরে সে মুসাকে ফোন দিয়ে ডেকে মারামারি শুরু করে।এতে আব্বাসের ছেলেরাও আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এরশাদুল আলম বলেন, গতকালের ঘটনায় উভয় পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে । তবে তদন্ত সাপেক্ষে আইননুসারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের একদিন জাতির কাছে জবাব দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

লালমনিরহাটের বড়বাড়িতে সংবাদকর্মীর উপর হামলা

প্রকাশ : ১১:১৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩

লালমনিরহাটের বড়বাড়িতে সংঘর্ষ ঠেকাতে এগিয়ে আসায় এক সংবাদকর্মী ও তার ভাই হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠছে।

সাংবাদিকের উপর হামলার এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।

শুক্রবার(৩১ মার্চ) রাত সাড়ে নয়টার দিকে জেলার সদর উপজেলার বড়বাড়ী শিবরাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় বাসিন্দা ও আহত সংবাদকর্মী মুসা মোর্শেদ জানায়, বড়বাড়ীর শিবরাম এলাকার অবঃ সেনা সদস্য আব্বাস আলী আর আসাদ-উদ-দৌলার জমি সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘ দিনের। স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার জন্য সচেতন মহল একাধিক বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ বিষয়ে উভয়ের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলাও চলমান রয়েছে। গত কাল (শুক্রবার) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিরোধ পূর্ণ জমির উপর দিয়ে সাইকেলে করে আব্বাসের ছেলে যাওয়ার সময় আসাদ দৌলার দৌহিত্র শাকিল(১২) কে সাইকেল লাগিয়ে দেয় এতে উভয়ের মাঝে তর্কের সৃষ্টি হয় এবং উভয় পক্ষের লোকজন এগিয়ে আসে এবং তর্কে জড়ায়। যা নিরোধে এগিয়ে আসে স্থানীয় বাসিন্দা দৈনিক বাংলাদেশ সময় পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক মুসা মোর্শেদ ও তার ভাই এনামুল। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক ও তার ভাইয়ের উপর অতর্কিত হামলা করে আহত করে আব্বাস গংরা। আহতদের চিৎকারে ঘটনাস্থলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সটকে পরে তারা।পরে আহত সংবাদকর্মী মুসা ও তার ভাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে(বেড নং-৪২,৪৫ তৃতীয় তলা)।

এ বিষয়ে অবঃ সেনা সদস্য আব্বাস আলী জানান, মুসাদের সাথে তাদের কোনো বিরোধ নেই।গতকাল শাকিলকে সাইকেল লাগিয়ে দেয়নি তার ছেলে শুধু পাশ দিয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে পায়ে পা দিয়ে পূর্ব জেরে ঝগড়ার পায়তারা করে আসাদরা,ঘটনাস্থলে সাংবাদিকের ভাই ছিলো,সে কথা বলায় তাকে শুধু চুপ থাকতে বলা হয়েছে, পরে সে মুসাকে ফোন দিয়ে ডেকে মারামারি শুরু করে।এতে আব্বাসের ছেলেরাও আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এরশাদুল আলম বলেন, গতকালের ঘটনায় উভয় পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে । তবে তদন্ত সাপেক্ষে আইননুসারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।