মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ এমন ঘোষণা আমরা বহুবার দিয়েছি। নোটিশ করে দশবার ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবুও কাজে আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) দুপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থল থেকে ব্রিফিং তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল এই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ আকারে আমরা ঘোষণা করেছিলাম। এ সংক্রান্ত ব্যানারও টানিয়েছি। এরপর আমরা দশবার নোটিশ দিয়েছি। বলেছি, এই ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের করণীয় যা যা ছিল তা আমরা করেছি। তারপরেও এখানে ব্যবসা চলছিল।’
তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিটের চেষ্টায় ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়া সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও ওয়াসাসহ অনেক বাহিনী ও সংস্থা আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আশা রাখি আগুন আর ছড়াবে না। কিন্তু নির্বাপন করতে আমার আরেকটু সময় লাগবে।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘বাতাসের কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়েছে। তাছাড়া পানি স্বল্পতার কারণে অভিযানে বেগ পেতে হয়েছে। এছাড়া উৎসক জনতার কারণেও সমস্যা হয়েছে।’
এ সময় ফায়ার সার্ভিস দপ্তরে হামলায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে হাজির থেকেই আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছি। আপনারা দেখেছেন আমি নিজে সকাল সাড়ে ৬টায় এখানে এসেছি। আমরা এর সুষ্ঠ তদন্ত করবো।’
ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘এখানে ৬৫০ জন ফায়ার ফাইটার ও ২০০ অধিক সেনাবাহিনী সদস্য অংশ নিয়েছেন।’
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের চেষ্টায় দুপুর সাড়ে ১২টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয় সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, আনসার, বিজিবি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর (এফএসসিডি), ভলেন্টিয়ার ও র্যাব।