০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরগুনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাবেক ইউপি সদস্য নিহত, আহত ১০

বরগুনায় শফিকুল ইসলাম পনু (৫৫) নামের এক সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত ছয়জনকে চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার আয়লা-পাতাকাটা ইউনিয়নের পাকুরগাছিয়া ঠান্ডার ক্লাব নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। বরগুনা সদর থানার ওসি মো. আলী আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়, গুরুতর জখম ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম পনুকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত পনু ওই এলাকার মোসলেম আলী আকনের ছেলে। তিনি এর আগের মেয়াদে ইউপি সদস্য ছিলেন।

নিহতের স্ত্রী মার্জিয়া আক্তার ছবিও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছবি মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে জানান, ইউপি নির্বাচনে বিরোধিতার জেরে প্রতিপক্ষ একই এলাকার বর্তমান ইউপি সদস্য মোতাহার মৃধা ও আসাদুজ্জামান ঠান্ডা মিয়ার নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ছবি দাবি করেন, নির্বাচনী বিরোধিতায় এর আগে তিনবার তাঁর স্বামী পনুর ওপর হামলা চালানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোতাহার ও ঠান্ডার নেতৃত্বে শতাধিক লোক রামদা, চল, ট্যাটা নিয়ে পনুর ওপর হামলা চালায়। এ সময় কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে বসতঘর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই এলাকার বাসিন্দা সুমন মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে পনু ও মোতাহার- ঠান্ডা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছে। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের শতাধিক লোক সংঘবদ্ধ হয়ে হামলায় জড়ায়। প্রথমে সাবেক ইউপি সদস্য পনুর লোকজন বর্তমান ইউপি সদস্য মোতাহার ও ঠান্ডার লোকজনকে কুপিয়ে জখম করে। পরে বর্তমান ইউপি সদস্য পাল্টা হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন জখম হয়।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আহমেদ জানান, এ ঘটনায় ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম পনু নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া উভয় পক্ষের জাহিদ, মজিবর, আসাদুজ্জামান ঠান্ডা, হাসিবুল ইসলামসহ ছয়জনকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিহার রঞ্জন্য বৈদ্য জানান, নিহত ব্যক্তির মাথা, বুক হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম হয়ে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর জখম আরও ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে।

বরগুনার পুলিশ সুপার মো. আবদুস সালাম বলেন, খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। এ ছাড়া নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার পর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের একদিন জাতির কাছে জবাব দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

বরগুনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাবেক ইউপি সদস্য নিহত, আহত ১০

প্রকাশ : ০৩:৫৭:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩

বরগুনায় শফিকুল ইসলাম পনু (৫৫) নামের এক সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত ছয়জনকে চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার আয়লা-পাতাকাটা ইউনিয়নের পাকুরগাছিয়া ঠান্ডার ক্লাব নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। বরগুনা সদর থানার ওসি মো. আলী আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়, গুরুতর জখম ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম পনুকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত পনু ওই এলাকার মোসলেম আলী আকনের ছেলে। তিনি এর আগের মেয়াদে ইউপি সদস্য ছিলেন।

নিহতের স্ত্রী মার্জিয়া আক্তার ছবিও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছবি মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে জানান, ইউপি নির্বাচনে বিরোধিতার জেরে প্রতিপক্ষ একই এলাকার বর্তমান ইউপি সদস্য মোতাহার মৃধা ও আসাদুজ্জামান ঠান্ডা মিয়ার নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ছবি দাবি করেন, নির্বাচনী বিরোধিতায় এর আগে তিনবার তাঁর স্বামী পনুর ওপর হামলা চালানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোতাহার ও ঠান্ডার নেতৃত্বে শতাধিক লোক রামদা, চল, ট্যাটা নিয়ে পনুর ওপর হামলা চালায়। এ সময় কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে বসতঘর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই এলাকার বাসিন্দা সুমন মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে পনু ও মোতাহার- ঠান্ডা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছে। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের শতাধিক লোক সংঘবদ্ধ হয়ে হামলায় জড়ায়। প্রথমে সাবেক ইউপি সদস্য পনুর লোকজন বর্তমান ইউপি সদস্য মোতাহার ও ঠান্ডার লোকজনকে কুপিয়ে জখম করে। পরে বর্তমান ইউপি সদস্য পাল্টা হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন জখম হয়।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আহমেদ জানান, এ ঘটনায় ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম পনু নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া উভয় পক্ষের জাহিদ, মজিবর, আসাদুজ্জামান ঠান্ডা, হাসিবুল ইসলামসহ ছয়জনকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিহার রঞ্জন্য বৈদ্য জানান, নিহত ব্যক্তির মাথা, বুক হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম হয়ে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর জখম আরও ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে।

বরগুনার পুলিশ সুপার মো. আবদুস সালাম বলেন, খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। এ ছাড়া নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার পর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।