০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল করে দেওয়ার অভিযোগ

জীবননগরে জোরপূর্বক জমি দখল করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত শনিবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পুরাতন চাকলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নজরুল ইসলাম রায়পুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ পুরাতন চাকলা গ্রামের রেনু হোসেন (৫৫) তাঁর নিজ জমি পুরাতন চাকলা গ্রামের বেলে মাঠে চাষাবাদ করতেন। গত শনিবার রায়পুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নজরুল ইসলাম ও তার এক অনুসারী পুরাতন চাকলা গ্রামের রেকসোনা খাতুনের সাথে নিয়ে রেনুর জমি দখল করেন। পরে তাকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় রেনুর সাথে ওই নারীর বাগবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায় রেনু এবং ওই নারীর হাতাহাতি হয়। এসময় রেনুকে ফাঁসানোর জন্য ওই নারীকে পিটিয়ে আহত করেছে এমন একটা অভিযোগ তুলে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করে। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নজরুল কৌশলে ওই নারীকে জীবননগর হাসপাতাল থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী রেনু বলেন, ‘আমার বাপ-দাদার আমল থেকে এই জমি ভোগদখল করে আসছি। আমরা নজরুল মেম্বারের বিপরীত ভোট করেছিলাম। সে কারণে নজরুল মেম্বার রেকসোনাকে দিয়ে খাস জমি দাবি করে আমার জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি রেকসোনাকে কোনো মারধর করিনি। এটা নজরুল মেম্বারের কারসাজি। এলাকার সকল মানুষ জানে নজরুল মেম্বার কেমন লোক। নজরুল মেম্বারই তার মামাতো ভাইয়ের দিয়ে রেকসোনাদের জমি দখল করে রেখেছে। সেই জমি দখল নেওয়ার জন্য কোর্টে মিথ্যা মামলাও করছে।
এ বিষয়ে রেকসোনার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, রেনু যে জমির মালিক দাবি করছে, সেটা খাস জমি। ওই খাস জমি থেকে সামান্য কিছু জমি নিয়ে হতদরিদ্র রেকসোনাকে একটি বাড়ি করে দেওয়ার জন্য গ্রামের কিছু মানুষকে সাথে নিয়ে বাঁশ, টিন, পিলার নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে যেতেই রেনু ও তার ছেলেরা মিলে রেকসোনাকে মারধর করে। ঘর নির্মাণ করার জন্য নিয়ে যাওয়া জিনিসপত্র পানিতে ফেলে দেয়।
রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তাহাজ্জত হোসেন মির্জা বলেন, ‘পুরাতন চাকলা গ্রামে জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করার বিষয় আমি শুনেছি। এই জমিকে কেন্দ্র করে আর যাতে কোনো ঘটনা না ঘটে, সে জন্য দুই পক্ষকে সাথে নিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের একদিন জাতির কাছে জবাব দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

চুয়াডাঙ্গায় ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল করে দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশ : ০৬:২৬:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

জীবননগরে জোরপূর্বক জমি দখল করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত শনিবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পুরাতন চাকলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নজরুল ইসলাম রায়পুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ পুরাতন চাকলা গ্রামের রেনু হোসেন (৫৫) তাঁর নিজ জমি পুরাতন চাকলা গ্রামের বেলে মাঠে চাষাবাদ করতেন। গত শনিবার রায়পুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নজরুল ইসলাম ও তার এক অনুসারী পুরাতন চাকলা গ্রামের রেকসোনা খাতুনের সাথে নিয়ে রেনুর জমি দখল করেন। পরে তাকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় রেনুর সাথে ওই নারীর বাগবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায় রেনু এবং ওই নারীর হাতাহাতি হয়। এসময় রেনুকে ফাঁসানোর জন্য ওই নারীকে পিটিয়ে আহত করেছে এমন একটা অভিযোগ তুলে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করে। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নজরুল কৌশলে ওই নারীকে জীবননগর হাসপাতাল থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী রেনু বলেন, ‘আমার বাপ-দাদার আমল থেকে এই জমি ভোগদখল করে আসছি। আমরা নজরুল মেম্বারের বিপরীত ভোট করেছিলাম। সে কারণে নজরুল মেম্বার রেকসোনাকে দিয়ে খাস জমি দাবি করে আমার জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি রেকসোনাকে কোনো মারধর করিনি। এটা নজরুল মেম্বারের কারসাজি। এলাকার সকল মানুষ জানে নজরুল মেম্বার কেমন লোক। নজরুল মেম্বারই তার মামাতো ভাইয়ের দিয়ে রেকসোনাদের জমি দখল করে রেখেছে। সেই জমি দখল নেওয়ার জন্য কোর্টে মিথ্যা মামলাও করছে।
এ বিষয়ে রেকসোনার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, রেনু যে জমির মালিক দাবি করছে, সেটা খাস জমি। ওই খাস জমি থেকে সামান্য কিছু জমি নিয়ে হতদরিদ্র রেকসোনাকে একটি বাড়ি করে দেওয়ার জন্য গ্রামের কিছু মানুষকে সাথে নিয়ে বাঁশ, টিন, পিলার নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে যেতেই রেনু ও তার ছেলেরা মিলে রেকসোনাকে মারধর করে। ঘর নির্মাণ করার জন্য নিয়ে যাওয়া জিনিসপত্র পানিতে ফেলে দেয়।
রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তাহাজ্জত হোসেন মির্জা বলেন, ‘পুরাতন চাকলা গ্রামে জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করার বিষয় আমি শুনেছি। এই জমিকে কেন্দ্র করে আর যাতে কোনো ঘটনা না ঘটে, সে জন্য দুই পক্ষকে সাথে নিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হবে।