পুকুরে জাল টানতেই পাওয়া গেলো ইলিশ মাছ। শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও এমন ঘটনাই ঘটেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ১ নং রায়হানপুর ইউনিয়নের একটি দিঘিতে। জালে ধরা পড়েছে ৯৫ টি জ্যান্ত ইলিশ।
রায়হানপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী সিদাম মিয়া বাড়ির দিঘিতে, জ্যান্ত ইলিশ পাওয়ার এমন খবর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাজুড়ে।
এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ৭৫ শতাংশ জুড়ে এই পুকুর বা দিঘিতে প্রতি বছরই মাছ ধরা হয়, এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার দিঘিতে থাকা বড় বড় বোয়ালসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা শুরু করলে, বিভিন্ন মাছের সাথে জালে উঠতে থাকে একের পর এক ইলিশ মাছ,
সব মিলিয়ে ৯৫ টি জ্যান্ত ইলিশ ধরতে সক্ষম হয়, পরে বংশের সকলের মাঝে এই ইলিশ মাছগুলো ভাগাভাগি করে বন্টন করা হয়।
এলাকাবাসীরা আরো জানান যে, ঐতিহ্যবাহী সিদাম মিয়া বাড়ি যার নামে পরিচিত সেই সিদাম মিয়া আজ থেকে প্রায় সাড়ে তিন’শ বছর পূর্বে যে সিদাম মিয়া ছিলো, তার ৬/৭ পুরুষ পরে আজও সেই সিদাম মিয়া বাড়ি নামেই পরিচিত,
সিদাম মিয়ার বংশে বর্তমানে যারা জীবিত আছেন তাদের সকলেরই এই পারিবারিক পুকুর বা দিঘি। এই পুকুর বা দিঘিতে অন্যান্য মাছের সাথে ইলিশ মাছ পাওয়ার আনন্দে সবাই উৎফুল্ল।
৬৫ বছর বয়সী মো. আলম চৌধুরী বলেন, পুকুরে ইলিশ পেয়ে আমাদের অনেক ভালো লেগেছে, যারা মাছ ধরেছে আমরা তাদেরকে অর্ধেক ইলিশ মাছ দিয়েছি এবং অবশিষ্ট মাছগুলো আমাদের বংশের সকলের মাঝে সমান সমান ভাগ করে নিয়েছি, তাতে প্রত্যেক পরিবারে ২ টি করে ইলিশ মাছ পেয়েছে।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, “জোয়ারের পানির সঙ্গে নালা দিয়ে পুকুরে ইলিশ আসতে পারে। পুকুরের পানি যদি নোনা হয় এবং নদীর মতো খাবার পায় তাহলে ইলিশ বাঁচানো সম্ভব।”
এ বিষয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগের গবেষক ড. লোকমান হোসেন বলেন, “এখন পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে পুকুরে ইলিশ চাষ করা শুরু হয়নি। তবে, গবেষণা চলছে। আশা করছি শিগগিরই এ নিয়ে সুখবর পাওয়া যাবে।”