০৭:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেট

বড় জয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ ভারত

চলমান নারী এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ৭ উইকেটের পরাজয়ে বড় হোঁচট খেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে একই ব্যবধানে জয় পায় টাইগ্রেসরা। এবার সেমিফাইনাল নিশ্চিতের জটিল সমীকরণের মারপ্যাঁচে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ১১৪ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে নিগার সুলতানার দল।
বুধবার (২৪ জুলাই) শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মুর্শিদার ৫৯ বলে ৮০ এবং নিগার সুলতানা জ্যোতির ৩৭ বলে ৬২ রানে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯১ রানের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। এর আগে, ২০১৯ সালে মালদ্বীপের বিপক্ষে ২ উইকেটে ২৫৫ রান করেছিল টাইগ্রেসরা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রানে থামে মালয়েশিয়ার ইনিংস। ১১৪ রানের এই জয়ের পর বাংলাদেশের রান রেটে ১ দশমিক ৯৭১। অন্যদিকে টেবিলের তিনে থাকা থাইল্যান্ডের রানরেট ০ দশমিক ০৯৮। ফলে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা-থাইল্যান্ডের মধ্যকার ফল যাই হোক না কেন, ‘বি’ গ্রুপে সেরা দুইয়েই থাকছে বাংলাদেশ। আর থাই মেয়েরা স্বাগতিকদের অবিশ্বাস্য কোনো ব্যবধানে হারালে গ্রুপ ‘চ্যাম্পিয়ন’ হয়েও শেষ চারে যেতে পারে বাংলাদেশ। গ্রুপ রানার্স-আপ হলে সেমিফাইনালে ভারতকে পাচ্ছে লাল-সবুজেরা।
এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই টাইগ্রেস ওপেনার দিলারা এবং মুর্শিদা। তাদের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লে’তে ৫১ রান তুলে বাংলাদেশ। তবে ফিফটির আগেই ফেরেন দিলারা। ২০ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন টাইগ্রেস এই ওপেনার।
এরপর অধিনায়ক নিগার সুলতানাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন মুর্শিদা খাতুন। ৪৫ বলে ফিফটি তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে সেঞ্চুরির খুব কাছে থেকে ফেরেন তিনি। ৫৯ বলে ৮০ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি।
শেষদিকে রুমানা আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন টাইগ্রেস অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত রুমানার ৬ এবং জ্যোতির অপরাজিত ৬২ রানে ভর করে ২ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ।
মালয়েশিয়ার হয়ে একটি করে উইকেট নেন ইজ্জাতি ইসমাইল এবং এলসা হান্টার।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে মালয়েশিয়া। ইনিংসের প্রথম ওভারে জাহানারা আলমের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে দিলারার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আইনা হামিজাহ। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন এই ওপেনার। অন্যপ্রান্তে রিতু মনির বলে ২৫ বলে ১১ রান করে  ফেরেন আরেক ওপেনার ওয়ান জুলিয়া।
টাইগ্রেসদের বোলিং তোপে দাঁড়াতেই পারেনি মালয়েশিয়ার মেয়েরা। ওপেনার জুলিয়া ছাড়া কেবল এলসা হান্টার (২০) এবং ইজ্জাতি ইসমাইল (১৫) দুই অঙ্কের কোটা পেরোতে পেরেছিলেন। বাকিরা আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৭৭ রানে থামে মালয়েশিয়ার ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন নাহিদা। এ ছাড়া জাহানারা, জেসমিন, রিতু, রাবেয়া ও স্বর্ণা একটি করে উইকেট নেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেট

বড় জয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ ভারত

প্রকাশ : ০৮:৫৩:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪

চলমান নারী এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ৭ উইকেটের পরাজয়ে বড় হোঁচট খেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে একই ব্যবধানে জয় পায় টাইগ্রেসরা। এবার সেমিফাইনাল নিশ্চিতের জটিল সমীকরণের মারপ্যাঁচে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ১১৪ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে নিগার সুলতানার দল।
বুধবার (২৪ জুলাই) শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মুর্শিদার ৫৯ বলে ৮০ এবং নিগার সুলতানা জ্যোতির ৩৭ বলে ৬২ রানে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯১ রানের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। এর আগে, ২০১৯ সালে মালদ্বীপের বিপক্ষে ২ উইকেটে ২৫৫ রান করেছিল টাইগ্রেসরা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রানে থামে মালয়েশিয়ার ইনিংস। ১১৪ রানের এই জয়ের পর বাংলাদেশের রান রেটে ১ দশমিক ৯৭১। অন্যদিকে টেবিলের তিনে থাকা থাইল্যান্ডের রানরেট ০ দশমিক ০৯৮। ফলে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা-থাইল্যান্ডের মধ্যকার ফল যাই হোক না কেন, ‘বি’ গ্রুপে সেরা দুইয়েই থাকছে বাংলাদেশ। আর থাই মেয়েরা স্বাগতিকদের অবিশ্বাস্য কোনো ব্যবধানে হারালে গ্রুপ ‘চ্যাম্পিয়ন’ হয়েও শেষ চারে যেতে পারে বাংলাদেশ। গ্রুপ রানার্স-আপ হলে সেমিফাইনালে ভারতকে পাচ্ছে লাল-সবুজেরা।
এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই টাইগ্রেস ওপেনার দিলারা এবং মুর্শিদা। তাদের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লে’তে ৫১ রান তুলে বাংলাদেশ। তবে ফিফটির আগেই ফেরেন দিলারা। ২০ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন টাইগ্রেস এই ওপেনার।
এরপর অধিনায়ক নিগার সুলতানাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন মুর্শিদা খাতুন। ৪৫ বলে ফিফটি তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে সেঞ্চুরির খুব কাছে থেকে ফেরেন তিনি। ৫৯ বলে ৮০ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি।
শেষদিকে রুমানা আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন টাইগ্রেস অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত রুমানার ৬ এবং জ্যোতির অপরাজিত ৬২ রানে ভর করে ২ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ।
মালয়েশিয়ার হয়ে একটি করে উইকেট নেন ইজ্জাতি ইসমাইল এবং এলসা হান্টার।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে মালয়েশিয়া। ইনিংসের প্রথম ওভারে জাহানারা আলমের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে দিলারার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আইনা হামিজাহ। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন এই ওপেনার। অন্যপ্রান্তে রিতু মনির বলে ২৫ বলে ১১ রান করে  ফেরেন আরেক ওপেনার ওয়ান জুলিয়া।
টাইগ্রেসদের বোলিং তোপে দাঁড়াতেই পারেনি মালয়েশিয়ার মেয়েরা। ওপেনার জুলিয়া ছাড়া কেবল এলসা হান্টার (২০) এবং ইজ্জাতি ইসমাইল (১৫) দুই অঙ্কের কোটা পেরোতে পেরেছিলেন। বাকিরা আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৭৭ রানে থামে মালয়েশিয়ার ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন নাহিদা। এ ছাড়া জাহানারা, জেসমিন, রিতু, রাবেয়া ও স্বর্ণা একটি করে উইকেট নেন।