০৭:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বিচার করা হোক: রওশন এরশাদ

রওশন এরশাদ

জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেছেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তার নিন্দা জানানোর ভাষাও আমি হারিয়ে ফেলেছি। যারা দেশের এতবড় ক্ষতি করেছে, তাদের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বিচার করা হোক।
শনিবার (২৭ জুলাই) কোটা আন্দোলনের সময় সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মিরপুর-১০ নম্বরে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এ দাবি জানান।
কোনো দেশের নাগরিক তার দেশের সম্পদ এভাবে ক্ষতি করতে পারে না উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, যারা করেছে তারা দেশের শত্রু।
রওশন এরশাদ বলেন, আমি মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের ছবি দেখে বিশ্বাস করতে পারিনি। তাই আজ আমি নিজের চোখে এই ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে এসেছি। আমার এই বয়সে দেশের এই ছবি দেখতে হবে তা ভাবতেও পারিনি। এই ক্ষতি হয়তো পুষিয়ে উঠতে সরকারের কষ্ট হবে কিন্তু মনের ক্ষত সারবে কীভাবে।
দেশের কোমলমতি ছাত্র সমাজ ন্যায়সঙ্গত কিছু দাবি জানিয়েছিল উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, আমরাও তাদের দাবির প্রতি সমর্থন দিয়েছিলাম। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ছাত্রদের দাবি বাস্তবায়িত হয়েছে। ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে চক্রান্তকারীদের অনুপ্রবেশ ঘটায় আন্দোলনে সহিংসতা দেখা দেয়। তার জন্য অনেক ছাত্রের অমূল্য জীবন হারিয়ে যায়। পাশাপাশি সাধারণ অনেক মানুষ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যও প্রাণ হারিয়েছে। জীবন মৃত্যুর সঙ্গে অনেকে সংগ্রাম করছেন। এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাপার এই অংশের কো-চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সুনীল শুভ রায় ও মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ প্রমুখ।

জনপ্রিয় সংবাদ

যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বিচার করা হোক: রওশন এরশাদ

প্রকাশ : ০৯:৫২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেছেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তার নিন্দা জানানোর ভাষাও আমি হারিয়ে ফেলেছি। যারা দেশের এতবড় ক্ষতি করেছে, তাদের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বিচার করা হোক।
শনিবার (২৭ জুলাই) কোটা আন্দোলনের সময় সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মিরপুর-১০ নম্বরে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এ দাবি জানান।
কোনো দেশের নাগরিক তার দেশের সম্পদ এভাবে ক্ষতি করতে পারে না উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, যারা করেছে তারা দেশের শত্রু।
রওশন এরশাদ বলেন, আমি মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের ছবি দেখে বিশ্বাস করতে পারিনি। তাই আজ আমি নিজের চোখে এই ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে এসেছি। আমার এই বয়সে দেশের এই ছবি দেখতে হবে তা ভাবতেও পারিনি। এই ক্ষতি হয়তো পুষিয়ে উঠতে সরকারের কষ্ট হবে কিন্তু মনের ক্ষত সারবে কীভাবে।
দেশের কোমলমতি ছাত্র সমাজ ন্যায়সঙ্গত কিছু দাবি জানিয়েছিল উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, আমরাও তাদের দাবির প্রতি সমর্থন দিয়েছিলাম। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ছাত্রদের দাবি বাস্তবায়িত হয়েছে। ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে চক্রান্তকারীদের অনুপ্রবেশ ঘটায় আন্দোলনে সহিংসতা দেখা দেয়। তার জন্য অনেক ছাত্রের অমূল্য জীবন হারিয়ে যায়। পাশাপাশি সাধারণ অনেক মানুষ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যও প্রাণ হারিয়েছে। জীবন মৃত্যুর সঙ্গে অনেকে সংগ্রাম করছেন। এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাপার এই অংশের কো-চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সুনীল শুভ রায় ও মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ প্রমুখ।