০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজার প্রধান নেতাকে হত্যা, রাশিয়ার কঠোর সতর্কবার্তা

রাশিয়ার পতাকা ও ইসরায়েলি বাহিনীর ট্যাংক। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন। তার এ হত্যার ঘটনায় কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছে রাশিয়া।
বুধবার (৩১ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামাসের প্রধানকে হত্যার মাধ্যমে গোটা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। বুধবার হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহতের ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানিয়ে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে এ ধরনের পদক্ষেপগুলো পরিচালিত হয়েছে। এ ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
এর আগে রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানভ হানিয়াকে হত্যা নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি হামাসপ্রধানের হত্যকে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক হত্যা’ বলে অভিহিত করেন।
এদিকে বুধবার আল জাজিরা জানায়, ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসমাইল হানিয়া গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়া মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) থেকে তেহরানে অবস্থান করছিলেন। হামাস নেতারা যে ভবনে অবস্থান করছিলেন সেখান থেকে বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে হানিয়া এবং তার একজন দেহরক্ষীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
বিষয়টি এক বিবৃতিতে হামাসও নিশ্চিত করেছে। তারা বলছে, আমাদের ভাই, নেতা, মুজাহিদ, স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার তেহরানের বাসভবনে বিশ্বাসঘাতক জায়নবাদীরা হামলা করেছে। তিনি শহীদ হয়েছেন। ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ফিলিস্তিনি জনগণ, আরব ও ইসলামি জাতি এবং বিশ্বের সব স্বাধীন মানুষের কাছে শোকের দাবি করে।
গাজা উপত্যকায় হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন ইসমাইল হানিয়া। ২০০৪ সালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শেখ আহমেদ ইয়াসিন নিহত হন। এরপর উপত্যকায় ইসমাইল হানিয়ার প্রভাব বাড়তে থাকে। এ নেতার সরাসরি রাজনীতিতে উত্থান ঘটে ২০০৬ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের আগে। তখন মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন বিভক্ত ফাতাহ দলকে হারিয়ে চমক দেখায় হামাস। ওই নির্বাচনে সাংগঠনিক পারদর্শিতায় কর্মীদের মন জয় করেন তিনি। এর ফলশ্রুতিতে ইসমাইল হানিয়া ২০১৭ সাল থেকে হামাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার জনপ্রিয়তায় তিনি বারবার গোষ্ঠীটির নেতা নির্বাচিত হন।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজার প্রধান নেতাকে হত্যা, রাশিয়ার কঠোর সতর্কবার্তা

প্রকাশ : ০৬:০২:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন। তার এ হত্যার ঘটনায় কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছে রাশিয়া।
বুধবার (৩১ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামাসের প্রধানকে হত্যার মাধ্যমে গোটা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। বুধবার হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহতের ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানিয়ে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে এ ধরনের পদক্ষেপগুলো পরিচালিত হয়েছে। এ ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
এর আগে রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানভ হানিয়াকে হত্যা নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি হামাসপ্রধানের হত্যকে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক হত্যা’ বলে অভিহিত করেন।
এদিকে বুধবার আল জাজিরা জানায়, ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসমাইল হানিয়া গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়া মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) থেকে তেহরানে অবস্থান করছিলেন। হামাস নেতারা যে ভবনে অবস্থান করছিলেন সেখান থেকে বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে হানিয়া এবং তার একজন দেহরক্ষীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
বিষয়টি এক বিবৃতিতে হামাসও নিশ্চিত করেছে। তারা বলছে, আমাদের ভাই, নেতা, মুজাহিদ, স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার তেহরানের বাসভবনে বিশ্বাসঘাতক জায়নবাদীরা হামলা করেছে। তিনি শহীদ হয়েছেন। ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ফিলিস্তিনি জনগণ, আরব ও ইসলামি জাতি এবং বিশ্বের সব স্বাধীন মানুষের কাছে শোকের দাবি করে।
গাজা উপত্যকায় হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন ইসমাইল হানিয়া। ২০০৪ সালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শেখ আহমেদ ইয়াসিন নিহত হন। এরপর উপত্যকায় ইসমাইল হানিয়ার প্রভাব বাড়তে থাকে। এ নেতার সরাসরি রাজনীতিতে উত্থান ঘটে ২০০৬ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের আগে। তখন মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন বিভক্ত ফাতাহ দলকে হারিয়ে চমক দেখায় হামাস। ওই নির্বাচনে সাংগঠনিক পারদর্শিতায় কর্মীদের মন জয় করেন তিনি। এর ফলশ্রুতিতে ইসমাইল হানিয়া ২০১৭ সাল থেকে হামাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার জনপ্রিয়তায় তিনি বারবার গোষ্ঠীটির নেতা নির্বাচিত হন।