০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা

ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসা।

বগুড়ার ধুনটে অর্ধশত বছরের পুরানো জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডাক্তার,নার্স ও রোগী সাধারনের চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। যে কোন সময় ধসে পড়ে প্রানহানী সহ বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে ,১৯৬৪ সালে নির্মিত ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবনটি দীর্ঘদিন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। ছাদ ও বীমে ফাটল ধরেছে। প্রতিদিন ছাদ ও বীমের পেলেস্তার খসে পড়ছে। সবচেয়ে বেশী ঝুকিপূর্ণ দ্বিতীয় তলার মহিলা ওয়ার্ডের। ওই ওয়ার্ডে প্রতিদিন ছাদ ও বীম থেকে পেলেস্তার খসে পড়ে একদিকে যেমন রোগীদের বিছানা পত্র নোংরা হচ্ছে অন্য দিকে কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্স ও ভর্তি রোগীদের জীবনের ঝুঁকির মধ্যে চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতাল ভবনটির যে অবস্থা তাতে যে কোন সময় ধসে পড়ে প্রান হানী সহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা অশঙ্কা করছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
উপজেলার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ একমাত্র হাসপাতালটিতে কর্তব্যরত ডাক্তার , নার্স ও বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা , কর্মচারী ও স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা বিভিন্ন রোগীদের অনেকটাই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে দাঁড়িয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। মহিলা,ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী জোবেদা খাতুন জানান, প্রায় ৫ দিন হলো এখানে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি। মাঝে মধ্যে ছাদে থেকে পেলেস্তার খসে পড়ে বিছানা ও নিজের শরীরের উপর পড়ে । একই রুমে রোগী মমি খাতুন ও বুলবুলী খাতুন জানান বেঁচে থাকার জন্য রোগের চিকিৎসা নিতে এসেছি। বর্তমানে হাসপাতলের যে অবস্থা তাতে ছাদ ধসে পড়ে মৃত্যু না হলে হয়।
কর্তব্যরত নার্স ইনচার্জ মনিরা খাতুন বলেন, ডাক্তার ,নার্স ও রোগী সাধারনকে মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে । মনের মধ্যে সব সময়ই আতঙ্ক কখন যেন কি হয়। প্রশাসন বিভাগের ক্যাশিয়ার আব্দুস ছামাদ হিসাব রক্ষক অপরুপ কুমার ও ষ্টোর কিপার সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ঝুকিপূর্ন এ ভবনে জীবনের ঝুকি নিয়ে কর্তব্য পালন করতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আশরাফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ঝুকিপূর্ন ভবনেই চিকিৎসা সেবা চালিয়ে আসছিল । একাধিক বার কর্তৃপক্ষের কাছে পত্র প্রেরন সহ নিজেই যোগযোগ করেও কোন প্রতিকার মেলেনি। তিনি ভবন ধসে প্রানহানী সহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার অশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বর্তমানে ভবনের যে অবস্থা তাতে যদি ধসে পড়ে প্রান হানির ঘটনা ঘটে এর দায়িত্ব কে নেবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের একদিন জাতির কাছে জবাব দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা

প্রকাশ : ১১:৫৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসা।

বগুড়ার ধুনটে অর্ধশত বছরের পুরানো জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডাক্তার,নার্স ও রোগী সাধারনের চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। যে কোন সময় ধসে পড়ে প্রানহানী সহ বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে ,১৯৬৪ সালে নির্মিত ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবনটি দীর্ঘদিন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। ছাদ ও বীমে ফাটল ধরেছে। প্রতিদিন ছাদ ও বীমের পেলেস্তার খসে পড়ছে। সবচেয়ে বেশী ঝুকিপূর্ণ দ্বিতীয় তলার মহিলা ওয়ার্ডের। ওই ওয়ার্ডে প্রতিদিন ছাদ ও বীম থেকে পেলেস্তার খসে পড়ে একদিকে যেমন রোগীদের বিছানা পত্র নোংরা হচ্ছে অন্য দিকে কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্স ও ভর্তি রোগীদের জীবনের ঝুঁকির মধ্যে চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতাল ভবনটির যে অবস্থা তাতে যে কোন সময় ধসে পড়ে প্রান হানী সহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা অশঙ্কা করছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
উপজেলার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ একমাত্র হাসপাতালটিতে কর্তব্যরত ডাক্তার , নার্স ও বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা , কর্মচারী ও স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা বিভিন্ন রোগীদের অনেকটাই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে দাঁড়িয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। মহিলা,ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী জোবেদা খাতুন জানান, প্রায় ৫ দিন হলো এখানে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি। মাঝে মধ্যে ছাদে থেকে পেলেস্তার খসে পড়ে বিছানা ও নিজের শরীরের উপর পড়ে । একই রুমে রোগী মমি খাতুন ও বুলবুলী খাতুন জানান বেঁচে থাকার জন্য রোগের চিকিৎসা নিতে এসেছি। বর্তমানে হাসপাতলের যে অবস্থা তাতে ছাদ ধসে পড়ে মৃত্যু না হলে হয়।
কর্তব্যরত নার্স ইনচার্জ মনিরা খাতুন বলেন, ডাক্তার ,নার্স ও রোগী সাধারনকে মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে । মনের মধ্যে সব সময়ই আতঙ্ক কখন যেন কি হয়। প্রশাসন বিভাগের ক্যাশিয়ার আব্দুস ছামাদ হিসাব রক্ষক অপরুপ কুমার ও ষ্টোর কিপার সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ঝুকিপূর্ন এ ভবনে জীবনের ঝুকি নিয়ে কর্তব্য পালন করতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আশরাফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ঝুকিপূর্ন ভবনেই চিকিৎসা সেবা চালিয়ে আসছিল । একাধিক বার কর্তৃপক্ষের কাছে পত্র প্রেরন সহ নিজেই যোগযোগ করেও কোন প্রতিকার মেলেনি। তিনি ভবন ধসে প্রানহানী সহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার অশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বর্তমানে ভবনের যে অবস্থা তাতে যদি ধসে পড়ে প্রান হানির ঘটনা ঘটে এর দায়িত্ব কে নেবে।