০৯:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় ইউপি নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধার অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সাধারণ সদস্য প্রার্থীর প্রচারে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য প্রার্থী অভিযোগ করেছেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার বরাবর। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি তাঁর। এদিকে প্রশাসন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রচারে বাঁধা দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে আইন অনুযায়ী। নির্দেশনা মেনে প্রচার কার্যক্রম চালাতে কোনো বাঁধা নেই।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আগামী ১৬ মার্চ জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন। অভিযোগ রয়েছে, এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে নাসিরের ছেলে শিমুল (২৫), কামরুল হাসানের ছেলে জিণ্টু (২৭) ও কবির হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর (৪২) হুমকি-ধামকি দিয়ে প্রচার বন্ধের চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় সাধারণ সদস্য (তালা প্রতীক) প্রার্থী আব্দুর রশিদ চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার এবং নির্বাচন অফিসারের নিকট পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন।
আব্দুর রশিদ বলেন, ‘শিমুল, জিণ্টু ও জাহাঙ্গীর প্রতিনিয়ত হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। মামলার ভয় দেখাচ্ছে। আমি ৫ তারিখে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিয়েছিলাম। তারা গত বৃহস্পতিবার আমার প্রচারণার মাইক বন্ধ করে দিয়েছে। ভ্যানচালককে হুমকি দিয়েছে। অভিযোগের বরাত দিয়ে আব্দুর রশিদ আরও বলেন, আমি ওদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তারা বলছে, আমরা বাবলু ভাইয়ের লোক। তুই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়া, তা না হলে সমস্যা আছে।
এ বিষয়ে ভ্যানচালক বদা মিয়া বলেন, ‘আমি ভাড়ায় খাটা দিনমজুর। আমার দোষ কী? নাসিরের ছেলে শিমুল আমাকে হুমকি দিয়ে বের হতে মানা করছে। আমি গরিব মানুষ। আমাকে হুমকি দিচ্ছে। বলছে, বের হওয়া যাবে না। শিমুলের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় প্রতিবেদককের। শিমুল বলেন, ‘আমি নৌকার ভোট করছি। কিডা অভিযোগ দিলো তা দেখার দরকার নেই। অভিযোগ হলে পুলিশ তদন্ত করুক। মেম্বার প্রার্থীর প্রচরাণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে শিমুলের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো মেম্বার প্রার্থীর ভোট করছি না।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ এসছে। আমরা তৎপর আছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে আছে। প্রচার-প্রচারণায় কোনো বাঁধার অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মেজর আহমেদ বলেন, ‘আমরা প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্বসহকারে দেখছি। আমরা অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলছি।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের একদিন জাতির কাছে জবাব দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

চুয়াডাঙ্গায় ইউপি নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধার অভিযোগ

প্রকাশ : ০৬:১৫:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সাধারণ সদস্য প্রার্থীর প্রচারে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য প্রার্থী অভিযোগ করেছেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার বরাবর। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি তাঁর। এদিকে প্রশাসন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রচারে বাঁধা দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে আইন অনুযায়ী। নির্দেশনা মেনে প্রচার কার্যক্রম চালাতে কোনো বাঁধা নেই।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আগামী ১৬ মার্চ জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন। অভিযোগ রয়েছে, এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে নাসিরের ছেলে শিমুল (২৫), কামরুল হাসানের ছেলে জিণ্টু (২৭) ও কবির হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর (৪২) হুমকি-ধামকি দিয়ে প্রচার বন্ধের চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় সাধারণ সদস্য (তালা প্রতীক) প্রার্থী আব্দুর রশিদ চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার এবং নির্বাচন অফিসারের নিকট পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন।
আব্দুর রশিদ বলেন, ‘শিমুল, জিণ্টু ও জাহাঙ্গীর প্রতিনিয়ত হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। মামলার ভয় দেখাচ্ছে। আমি ৫ তারিখে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিয়েছিলাম। তারা গত বৃহস্পতিবার আমার প্রচারণার মাইক বন্ধ করে দিয়েছে। ভ্যানচালককে হুমকি দিয়েছে। অভিযোগের বরাত দিয়ে আব্দুর রশিদ আরও বলেন, আমি ওদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তারা বলছে, আমরা বাবলু ভাইয়ের লোক। তুই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়া, তা না হলে সমস্যা আছে।
এ বিষয়ে ভ্যানচালক বদা মিয়া বলেন, ‘আমি ভাড়ায় খাটা দিনমজুর। আমার দোষ কী? নাসিরের ছেলে শিমুল আমাকে হুমকি দিয়ে বের হতে মানা করছে। আমি গরিব মানুষ। আমাকে হুমকি দিচ্ছে। বলছে, বের হওয়া যাবে না। শিমুলের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় প্রতিবেদককের। শিমুল বলেন, ‘আমি নৌকার ভোট করছি। কিডা অভিযোগ দিলো তা দেখার দরকার নেই। অভিযোগ হলে পুলিশ তদন্ত করুক। মেম্বার প্রার্থীর প্রচরাণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে শিমুলের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো মেম্বার প্রার্থীর ভোট করছি না।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ এসছে। আমরা তৎপর আছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে আছে। প্রচার-প্রচারণায় কোনো বাঁধার অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মেজর আহমেদ বলেন, ‘আমরা প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্বসহকারে দেখছি। আমরা অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলছি।