ঢাকা ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এ সরকারের শাসনামলে নারীরাই সবচেয়ে বেশি লাঞ্ছিত হয়েছেন : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এমন এক সময় এই দিবস পালিত হচ্ছে, যখন বাংলাদেশে নারীরা ঘরে-বাইরে-কর্মস্থলে সর্বত্রই নির্যাতিত-নিপীড়িত-লাঞ্ছিত, খুন-খারাবির শিকার হচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে। কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনার গত ১৬ বছরের কুশাসনে সবচেয়ে বেশি লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়েছেন নারীরা।
শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর নয়া পল্টনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতার অভিযোগ, ‘রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সারা দেশে ভয়ংকর নারী নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। রাষ্ট্রক্ষমতার আশ্রয়, প্ররোচনায় এদের অসভ্যতা রুচিহীন বর্বর শক্তিতে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান নৈরাজ্য পরিস্থিতিতে শুধু রাত-বিরেতে নয়, দিনে-দুপুরে পথ চলতে নারীরাসহ সাধারণ মানুষের গা ছমছম করে। নবধারার আওয়ামী বাকশাল-রাজ্যে নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার মাত্রায় এখনও কোনও ছেদ যতি টানা হয়নি, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সর্বশেষ পরিসংখ্যানে উল্লেখ করে রিজভী জানান, দেশে গত ১৩ মাসে এক হাজারের বেশি নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। গত বছর নারীর প্রতি সহিংসতা ছিল উদ্বেগজনক বিষয়।
এ সময়ে সারা দেশে ৫৭৩ জন নারী ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কোনও কোনও নারীকে। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ১২২ জন পুরুষ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে আট জন নারী-পুরুষ খুন হন।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ উল্লেখ করেন, ‘দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রী, দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একজন মহীয়সী নারী। যিনি অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে বার-বার মুক্ত করেছেন। তাকে সীমাহীন হয়রানি ও হেনস্তা করার জন্য অন্যায় এবং বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিরতি চুক্তিতে বাধা দেয়ার অভিযোগ

এ সরকারের শাসনামলে নারীরাই সবচেয়ে বেশি লাঞ্ছিত হয়েছেন : রিজভী

আপডেট সময় : ১১:২২:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এমন এক সময় এই দিবস পালিত হচ্ছে, যখন বাংলাদেশে নারীরা ঘরে-বাইরে-কর্মস্থলে সর্বত্রই নির্যাতিত-নিপীড়িত-লাঞ্ছিত, খুন-খারাবির শিকার হচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে। কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনার গত ১৬ বছরের কুশাসনে সবচেয়ে বেশি লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়েছেন নারীরা।
শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর নয়া পল্টনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতার অভিযোগ, ‘রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সারা দেশে ভয়ংকর নারী নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। রাষ্ট্রক্ষমতার আশ্রয়, প্ররোচনায় এদের অসভ্যতা রুচিহীন বর্বর শক্তিতে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান নৈরাজ্য পরিস্থিতিতে শুধু রাত-বিরেতে নয়, দিনে-দুপুরে পথ চলতে নারীরাসহ সাধারণ মানুষের গা ছমছম করে। নবধারার আওয়ামী বাকশাল-রাজ্যে নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার মাত্রায় এখনও কোনও ছেদ যতি টানা হয়নি, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সর্বশেষ পরিসংখ্যানে উল্লেখ করে রিজভী জানান, দেশে গত ১৩ মাসে এক হাজারের বেশি নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। গত বছর নারীর প্রতি সহিংসতা ছিল উদ্বেগজনক বিষয়।
এ সময়ে সারা দেশে ৫৭৩ জন নারী ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কোনও কোনও নারীকে। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ১২২ জন পুরুষ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে আট জন নারী-পুরুষ খুন হন।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ উল্লেখ করেন, ‘দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রী, দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একজন মহীয়সী নারী। যিনি অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে বার-বার মুক্ত করেছেন। তাকে সীমাহীন হয়রানি ও হেনস্তা করার জন্য অন্যায় এবং বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে।