০৭:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে এমপির বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৪

টাঙ্গাইলে পৃথক হামলায় এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার পর থেকে হামলার ঘটনাগুলো ঘটে। হামলায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোটমনিরের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের গাড়িতে আগুন দেয়।
এছাড়াও ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এমপির পাশের বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ডে পার্কিং করে রাখা চারটি মোটরসাইকেল ও সিএন্ডবি রোড়ে এক সংবাদকর্মীর মোটরসাইকেলেও আগুন দেয়। নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ গুলি ও হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের। আহতরা বর্তমানে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে শহরের বিবেকানন্দ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে এক নারী শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন আন্দোলনকারীর ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের ধাওয়া দেয়। হামলাকারীরা বিবেকানন্দ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভিতরে প্রবেশ করায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সেখানে ঢুকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও সেখানে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করে বের হয়ে যায়। পরে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা সিন্ডবি রোডে ঢুকলে সেখানে তাদের ওপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এ সময় কেউ হতাহত না হলেও ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দেয় ও এক সংবাদকর্মীর মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। এরমাঝে শহরের বড় কালিবাড়ী রোডে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন শিক্ষার্থীদের একাংশ। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হওয়াসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোটমনিরের বাড়িতে ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে পাশের বাড়ির আন্ডার গ্রাউন্ডে রাখা এমপির নেতাকর্মীদের চারটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় ও ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে জমায়েত হন। সেখানে হাজার হাজার ছাত্রজনতার স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। আন্দোলনটি জনস্রোতে পরিণত হয়েছে। এরপর তারা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজপথ দখল করে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করতে যান। বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরের রাজপথ বৈষম্যবিরোধীদের দখলে রয়েছে। সেখান থেকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি এমপির বড়ভাই ও জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড়মনি।
টাঙ্গাইল হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে একজনসহ জেনারেল হাসপাতালে আন্দোলনে আহত ১৪জন ভর্তি রয়েছেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দিন জানান, আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। আমরা ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

টাঙ্গাইলে এমপির বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৪

প্রকাশ : ০৩:৪৩:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

টাঙ্গাইলে পৃথক হামলায় এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার পর থেকে হামলার ঘটনাগুলো ঘটে। হামলায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোটমনিরের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের গাড়িতে আগুন দেয়।
এছাড়াও ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এমপির পাশের বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ডে পার্কিং করে রাখা চারটি মোটরসাইকেল ও সিএন্ডবি রোড়ে এক সংবাদকর্মীর মোটরসাইকেলেও আগুন দেয়। নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ গুলি ও হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের। আহতরা বর্তমানে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে শহরের বিবেকানন্দ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে এক নারী শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন আন্দোলনকারীর ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের ধাওয়া দেয়। হামলাকারীরা বিবেকানন্দ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভিতরে প্রবেশ করায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সেখানে ঢুকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও সেখানে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করে বের হয়ে যায়। পরে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা সিন্ডবি রোডে ঢুকলে সেখানে তাদের ওপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এ সময় কেউ হতাহত না হলেও ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দেয় ও এক সংবাদকর্মীর মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। এরমাঝে শহরের বড় কালিবাড়ী রোডে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন শিক্ষার্থীদের একাংশ। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হওয়াসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোটমনিরের বাড়িতে ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে পাশের বাড়ির আন্ডার গ্রাউন্ডে রাখা এমপির নেতাকর্মীদের চারটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় ও ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে জমায়েত হন। সেখানে হাজার হাজার ছাত্রজনতার স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। আন্দোলনটি জনস্রোতে পরিণত হয়েছে। এরপর তারা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজপথ দখল করে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করতে যান। বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরের রাজপথ বৈষম্যবিরোধীদের দখলে রয়েছে। সেখান থেকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি এমপির বড়ভাই ও জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড়মনি।
টাঙ্গাইল হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে একজনসহ জেনারেল হাসপাতালে আন্দোলনে আহত ১৪জন ভর্তি রয়েছেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দিন জানান, আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। আমরা ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।