০১:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাটোরে আগুনে পুড়ে দুই শিশুসহ মায়ের মৃত্যু

নাটোরের বড়াইগ্রামে বাড়িতে আগুনে পুড়ে দুই শিশু সন্তানসহ গৃহবধূ নিহত ও ২ আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের খাকসা উত্তর পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই জেলা প্রশাসক, ইউএনও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, থানা পরিদর্শক, ইউপি চেয়রাম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহতরা হলেন, উপজেলার খাকসা উত্তরপাড়া গ্রামের ওয়ালিউল্লাহ স্ত্রী সোমা খাতুন (৩৩), মেয়ে অমিয়া খাতুন (৮) ও ওমর আলী (৩)। নিহতদের দাফনের জন্য অর্থিক সহযোগীতা ও আহতদের চিকিৎসার দ্বায়ীত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
প্রতিবেশী রওশনার বেগম বলেন, দুই সন্তান নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন সোমা খাতুন। পাশের রুমে বন্ধু আনোয়ারের সাথে ঘুমিয়ে ছিলেন ওয়ালিউল্লাহ। এই সময় রান্না ঘর থেকে আগুন দেখে দুই সন্তানকে উদ্ধার করতে যায়। পরে গ্যাস সিলিন্ডারের গ্যাসের কারনে আগুন মুহুর্তে ছরিয়ে পরে। ওয়ালিউল্লাহ ও তার বন্ধু ঘর থেকে বের হতে পারলেও স্ত্রী ও শিশু সন্তান আগুন পুড়ে মারা যায়। আগুন নেভাতে গিয়ে ওয়ালিউল্লাহ ও আনোয়ার হোসেন গুরুতর আহত হন। ওয়ালিউল্লাহ পেশায় বাস চালক।
ইউপি চেয়ারম্যান মমিন আলী বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে ঘন্টাব্যাপি চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুনে একটি টিনের ঘর তিনটি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
নাটোর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক এটিএম মোর্শেদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ঘরে ভিতরে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। আগুনে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এসময় দুই লক্ষ টাকার মালমাল উদ্ধার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজিব বলেন, পরিবারের আবেদনে পেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাদের সামাজিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ বলেন, লাশ দাফনের জন্য আর্থিক সহযোগীতা করা হয়েছে। আহত ব্যাক্তিদের চিকিৎসা সেবা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে। বাড়ি করে দেওয়া থেকে এই পরিপারের জন্য সহযোগীতা অব্যহত থাকবে বলে জানান ডিসি।

নাটোরে আগুনে পুড়ে দুই শিশুসহ মায়ের মৃত্যু

প্রকাশ : ০১:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩

নাটোরের বড়াইগ্রামে বাড়িতে আগুনে পুড়ে দুই শিশু সন্তানসহ গৃহবধূ নিহত ও ২ আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের খাকসা উত্তর পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই জেলা প্রশাসক, ইউএনও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, থানা পরিদর্শক, ইউপি চেয়রাম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহতরা হলেন, উপজেলার খাকসা উত্তরপাড়া গ্রামের ওয়ালিউল্লাহ স্ত্রী সোমা খাতুন (৩৩), মেয়ে অমিয়া খাতুন (৮) ও ওমর আলী (৩)। নিহতদের দাফনের জন্য অর্থিক সহযোগীতা ও আহতদের চিকিৎসার দ্বায়ীত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
প্রতিবেশী রওশনার বেগম বলেন, দুই সন্তান নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন সোমা খাতুন। পাশের রুমে বন্ধু আনোয়ারের সাথে ঘুমিয়ে ছিলেন ওয়ালিউল্লাহ। এই সময় রান্না ঘর থেকে আগুন দেখে দুই সন্তানকে উদ্ধার করতে যায়। পরে গ্যাস সিলিন্ডারের গ্যাসের কারনে আগুন মুহুর্তে ছরিয়ে পরে। ওয়ালিউল্লাহ ও তার বন্ধু ঘর থেকে বের হতে পারলেও স্ত্রী ও শিশু সন্তান আগুন পুড়ে মারা যায়। আগুন নেভাতে গিয়ে ওয়ালিউল্লাহ ও আনোয়ার হোসেন গুরুতর আহত হন। ওয়ালিউল্লাহ পেশায় বাস চালক।
ইউপি চেয়ারম্যান মমিন আলী বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে ঘন্টাব্যাপি চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুনে একটি টিনের ঘর তিনটি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
নাটোর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক এটিএম মোর্শেদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ঘরে ভিতরে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। আগুনে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এসময় দুই লক্ষ টাকার মালমাল উদ্ধার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজিব বলেন, পরিবারের আবেদনে পেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাদের সামাজিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ বলেন, লাশ দাফনের জন্য আর্থিক সহযোগীতা করা হয়েছে। আহত ব্যাক্তিদের চিকিৎসা সেবা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে। বাড়ি করে দেওয়া থেকে এই পরিপারের জন্য সহযোগীতা অব্যহত থাকবে বলে জানান ডিসি।