০৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে ফেরার অপেক্ষায় পোর্ট সুদানে ৭ শতাধিক বাংলাদেশি

দেশে ফিরতে এখনও পোর্ট সুদানে অবস্থান করছেন ৭ শতাধিক বাংলাদেশি। ২ দিন পার হলেও, সৌদি আরবের জেদ্দায় ফেরার বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত বলে অভিযোগ প্রবাসীদের।
বৃহস্পতিবার, জাহাজে ওঠাকে কেন্দ্র করে, আটকে পড়া বাংলাদেশীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণো আসে। জেদ্দার জাহাজে, ৭০০ জনের মধ্যে ১২০ জনকে তোলার প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। কিন্তু এর বাইরেও অনেকে যেতে চাইলে দফায় দফায় ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে খার্তুম থেকে দুই ধাপে ১১ টি বাসে ৬৭৫ বাংলাদেশি বন্দর নগরী পোর্ট সুদানে আসে। বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, পোর্ট সুদানে একটি স্কুলে ক্যাম্প করে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।
সুদানে সাতদিনের অস্ত্রবিরতির ঘোষণার পরও সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষ অব্যাহত আছে। বর্তমানে প্রেসিডেন্ট কমপ্লেক্সের বেশিরভাগ অংশের দখল নিয়ে রেখেছে আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) সদস্যরা।
গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশটির সামরিক নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের অনুগত সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় মোহামেদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে থাকা আধা-সামরিক সংগঠন র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)।
দেশটিতে গণতন্ত্র ফেরানোর একটি প্রস্তাব নিয়ে আগে থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিলো। এই দুই সামরিক নেতার নেতৃত্বেই ২০১৯ সালে সুদানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির ক্ষমতা থেকে উৎখাত হন।
দেশটিতে প্রায় ২০ দিন ধরে চলা এ সংঘর্ষে হতাহতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এ পর্যন্ত অন্তত ৬শ মানুষের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। আহতের সংখ্যা অন্তত ৫ হাজার।
সংঘাত থেকে বাঁচতে এরই মধ্যে দেশ ছেড়েছে ১ লাখেরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘের শঙ্কা এই সংখ্যা ৮ লাখ ৬০ হাজার ছাড়াতে পারে। চলমান সংঘাতে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা ৩ লাখের বেশি।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে ফেরার অপেক্ষায় পোর্ট সুদানে ৭ শতাধিক বাংলাদেশি

প্রকাশ : ০৭:৫৮:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩

দেশে ফিরতে এখনও পোর্ট সুদানে অবস্থান করছেন ৭ শতাধিক বাংলাদেশি। ২ দিন পার হলেও, সৌদি আরবের জেদ্দায় ফেরার বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত বলে অভিযোগ প্রবাসীদের।
বৃহস্পতিবার, জাহাজে ওঠাকে কেন্দ্র করে, আটকে পড়া বাংলাদেশীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণো আসে। জেদ্দার জাহাজে, ৭০০ জনের মধ্যে ১২০ জনকে তোলার প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। কিন্তু এর বাইরেও অনেকে যেতে চাইলে দফায় দফায় ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে খার্তুম থেকে দুই ধাপে ১১ টি বাসে ৬৭৫ বাংলাদেশি বন্দর নগরী পোর্ট সুদানে আসে। বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, পোর্ট সুদানে একটি স্কুলে ক্যাম্প করে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।
সুদানে সাতদিনের অস্ত্রবিরতির ঘোষণার পরও সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষ অব্যাহত আছে। বর্তমানে প্রেসিডেন্ট কমপ্লেক্সের বেশিরভাগ অংশের দখল নিয়ে রেখেছে আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) সদস্যরা।
গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশটির সামরিক নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের অনুগত সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় মোহামেদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে থাকা আধা-সামরিক সংগঠন র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)।
দেশটিতে গণতন্ত্র ফেরানোর একটি প্রস্তাব নিয়ে আগে থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিলো। এই দুই সামরিক নেতার নেতৃত্বেই ২০১৯ সালে সুদানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির ক্ষমতা থেকে উৎখাত হন।
দেশটিতে প্রায় ২০ দিন ধরে চলা এ সংঘর্ষে হতাহতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এ পর্যন্ত অন্তত ৬শ মানুষের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। আহতের সংখ্যা অন্তত ৫ হাজার।
সংঘাত থেকে বাঁচতে এরই মধ্যে দেশ ছেড়েছে ১ লাখেরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘের শঙ্কা এই সংখ্যা ৮ লাখ ৬০ হাজার ছাড়াতে পারে। চলমান সংঘাতে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা ৩ লাখের বেশি।