০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ করে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা

গত এক সপ্তাহ ধরে চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে শিশু রোগির সংখ্যা। রাতে ঠান্ডা আর দিনের বেলায় গরম। আবহাওয়ার এই তারতাম্যের কারণে প্রতিদিন নিউমোনিয়া, ঠান্ডা, কাশি, জ্বর আক্রান্ত হয়ে শিশুরা আসছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। আর প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন শিশু রোগি আসছে সদর হাসপাতালের শিশু ওর্য়াডে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, গত শনিবার সারাদিন রোগি ভর্তি ছিল ৬৪ জন শিশু। আর আজ পর্যন্ত এক সপ্তাহে মোট ঠান্ডা জনিত রোগি চিকিৎসা নিয়েছে ৩০০ জন। আর এতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বেড আছে মাত্র ২০টি। আর এই ২০টি বেড ভরাট হয়ে গেছে। এতে বাকি রোগিরা স্থান সংকটের কারণে মেঝেতে অবস্থান করেছে। এতে রোগি স্বজনদের পড়তে হয়েছে নানা দুর্ভোগে। চারদিকে নোংরা পরিবেশ এতে বাচ্চাদের নিয়ে নিচে থাকাতে অসুবিধা হচ্ছে স্বজনদের।
১ থেকে ৬ মাস বয়সি শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়া, ঠান্ডা, জ্বর, কাশি। দিন দিন এতো রোগির চাপ বাড়াতে শিশু ওর্য়াডে দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সরা হিমসিম খেয়ে যাচ্ছে চিকিৎসা করতে। আর স্থান সংকটের কারণে শিশু ওর্য়াডের বাইরে দিকে শিড়ি পর্যন্ত রোগির অবস্থান দেখা গিয়েছে।
এদিকে শিশু রোগির স্বজনরা জানান, এখন গরম চলে আসছে আবার রাতের দিকে শীত পড়াতে বাচ্চাদের এই ঠান্ডাজনিত রোগ আক্রান্ত হচ্ছে। তবে রোগির অনেক চাপ। বেড সংকট। যে কারণে মেঝেতে অবস্থান করতে হয়েছে। এতে তাদের বাচ্চাদের নিয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। একদিকে যেমন বেড নেই অন্যদিকে হাসপাতালের চারদিকে ময়লা আর্বজনায় ভর্তি হয়ে আছে। এতে অনেক র্দুগন্ধ বেড়াছে। আবার বেড না থাকাতে ধুলা বালি বিছানার সাথে উঠে পড়ছে। যে কারণে বেড একান্ত দরকার। তা না হলে রোগ সারবে কি আরো বাড়বে।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতা শিশু ওর্য়াডের এক শিশুর মা স্বপ্না খাতুন বলেন, আমার বাচ্চা গেল কয়েকদিন ধরে নিউমোনিয়াই ভুগছিল। এখন হাসপাতালে নিয়ে এসছি এখানে চিকিৎসা চলছে। আর এখানে অনেক রোগির চাপ। জায়গা কম। আবার চারদিকে র্দুগন্ধ। হঠাৎ করে বাচ্চাদের এমন রোগ হওয়াতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। তবে ডাক্তারা ভালো দেখছে।
অপর এক শিশুর মা সিমা খাতুন বলেন, আবহাওয়া জনিত কারণে বাচ্চাদের এই ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দিনের বেলায় গরম আবার রাতে ঠান্ডা। এই জন্য বাচ্চারা এটা সহ্য করতে না পেরে তারা নিউমোনিয়ায় রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে ভয়ের কিছুই নেই ডাক্তাররা বলছে। আর এমন অবস্থা হওয়াতে শিশুরা খুব কষ্ট পারছে। হাসপাতারের বেডের সংখ্যা বাড়লে খুব ভালো হতো। নিচে নিয়ে শিশুদের বসতে হচ্ছে। এতে রোগ সাড়বে কি মনে হচ্ছে হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স জলি খাতুন বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে শিশু রোগি আসছে। এখন আবহাওয়া কিছুটা ওঠানামা করছে যে কারণে শিশুরা ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর আমাদের এখানে লোকবল সংকট এতো রোগির চাপ সামলানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন অনেক রোগি আসছে। আর সব বাচ্চারা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বেশি। আর আমরা চিকিৎসার পাশাপাশি পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান খোকন বলেন, এখন একটা ভাইরাস এই ঠান্ডা গরম বাতাসের মধ্যে থাকে। আবহাওয়া কিছুটা বিরুপ আচরণ দিচ্ছে। তাই শিশুদের বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে ভয়ের কিছুই নেই বাচ্চাদের সবসময় মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে। আর কোনো ভাবে বাশি ও পচা ধরনের খাবার খাওয়ানো যাবে না। আর ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের বাড়তি খাবার খাওয়ানো যাবে না। আর মা বাবার সচেতন থাকতে হবে এই সময়। আর ৬ মাসের পর থেকে বাচ্চাদের পুষ্টিকর বাড়তি খাবার খাওয়াতে হবে। আর সব সময় চেষ্টা করতে হবে ঠান্ডা আর গরমের দিকে খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চার বাবা মায়েদের।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের একদিন জাতির কাছে জবাব দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ করে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা

প্রকাশ : ০২:৫৮:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

গত এক সপ্তাহ ধরে চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে শিশু রোগির সংখ্যা। রাতে ঠান্ডা আর দিনের বেলায় গরম। আবহাওয়ার এই তারতাম্যের কারণে প্রতিদিন নিউমোনিয়া, ঠান্ডা, কাশি, জ্বর আক্রান্ত হয়ে শিশুরা আসছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। আর প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন শিশু রোগি আসছে সদর হাসপাতালের শিশু ওর্য়াডে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, গত শনিবার সারাদিন রোগি ভর্তি ছিল ৬৪ জন শিশু। আর আজ পর্যন্ত এক সপ্তাহে মোট ঠান্ডা জনিত রোগি চিকিৎসা নিয়েছে ৩০০ জন। আর এতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বেড আছে মাত্র ২০টি। আর এই ২০টি বেড ভরাট হয়ে গেছে। এতে বাকি রোগিরা স্থান সংকটের কারণে মেঝেতে অবস্থান করেছে। এতে রোগি স্বজনদের পড়তে হয়েছে নানা দুর্ভোগে। চারদিকে নোংরা পরিবেশ এতে বাচ্চাদের নিয়ে নিচে থাকাতে অসুবিধা হচ্ছে স্বজনদের।
১ থেকে ৬ মাস বয়সি শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়া, ঠান্ডা, জ্বর, কাশি। দিন দিন এতো রোগির চাপ বাড়াতে শিশু ওর্য়াডে দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সরা হিমসিম খেয়ে যাচ্ছে চিকিৎসা করতে। আর স্থান সংকটের কারণে শিশু ওর্য়াডের বাইরে দিকে শিড়ি পর্যন্ত রোগির অবস্থান দেখা গিয়েছে।
এদিকে শিশু রোগির স্বজনরা জানান, এখন গরম চলে আসছে আবার রাতের দিকে শীত পড়াতে বাচ্চাদের এই ঠান্ডাজনিত রোগ আক্রান্ত হচ্ছে। তবে রোগির অনেক চাপ। বেড সংকট। যে কারণে মেঝেতে অবস্থান করতে হয়েছে। এতে তাদের বাচ্চাদের নিয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। একদিকে যেমন বেড নেই অন্যদিকে হাসপাতালের চারদিকে ময়লা আর্বজনায় ভর্তি হয়ে আছে। এতে অনেক র্দুগন্ধ বেড়াছে। আবার বেড না থাকাতে ধুলা বালি বিছানার সাথে উঠে পড়ছে। যে কারণে বেড একান্ত দরকার। তা না হলে রোগ সারবে কি আরো বাড়বে।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতা শিশু ওর্য়াডের এক শিশুর মা স্বপ্না খাতুন বলেন, আমার বাচ্চা গেল কয়েকদিন ধরে নিউমোনিয়াই ভুগছিল। এখন হাসপাতালে নিয়ে এসছি এখানে চিকিৎসা চলছে। আর এখানে অনেক রোগির চাপ। জায়গা কম। আবার চারদিকে র্দুগন্ধ। হঠাৎ করে বাচ্চাদের এমন রোগ হওয়াতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। তবে ডাক্তারা ভালো দেখছে।
অপর এক শিশুর মা সিমা খাতুন বলেন, আবহাওয়া জনিত কারণে বাচ্চাদের এই ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দিনের বেলায় গরম আবার রাতে ঠান্ডা। এই জন্য বাচ্চারা এটা সহ্য করতে না পেরে তারা নিউমোনিয়ায় রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে ভয়ের কিছুই নেই ডাক্তাররা বলছে। আর এমন অবস্থা হওয়াতে শিশুরা খুব কষ্ট পারছে। হাসপাতারের বেডের সংখ্যা বাড়লে খুব ভালো হতো। নিচে নিয়ে শিশুদের বসতে হচ্ছে। এতে রোগ সাড়বে কি মনে হচ্ছে হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স জলি খাতুন বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে শিশু রোগি আসছে। এখন আবহাওয়া কিছুটা ওঠানামা করছে যে কারণে শিশুরা ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর আমাদের এখানে লোকবল সংকট এতো রোগির চাপ সামলানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন অনেক রোগি আসছে। আর সব বাচ্চারা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বেশি। আর আমরা চিকিৎসার পাশাপাশি পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান খোকন বলেন, এখন একটা ভাইরাস এই ঠান্ডা গরম বাতাসের মধ্যে থাকে। আবহাওয়া কিছুটা বিরুপ আচরণ দিচ্ছে। তাই শিশুদের বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে ভয়ের কিছুই নেই বাচ্চাদের সবসময় মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে। আর কোনো ভাবে বাশি ও পচা ধরনের খাবার খাওয়ানো যাবে না। আর ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের বাড়তি খাবার খাওয়ানো যাবে না। আর মা বাবার সচেতন থাকতে হবে এই সময়। আর ৬ মাসের পর থেকে বাচ্চাদের পুষ্টিকর বাড়তি খাবার খাওয়াতে হবে। আর সব সময় চেষ্টা করতে হবে ঠান্ডা আর গরমের দিকে খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চার বাবা মায়েদের।